অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সার্ভার সমস্যার কারণে বৃহস্পতিবারও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেনে বিঘœ ঘটেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিএসইর লেনদেন সার্ভারে ক্যাশ লিমিটের ডাটা আপলোড করতে না পারার কারণে ওইসব ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকরা শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। লেনদেন শুরুর পর প্রায় ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত এ সমস্যার কারণে ব্রোকারেজ হাউসগেুলোতে লেনদেনে বিঘœ ঘটে। এই কারণে ডিএসইর লেনদেনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বুধবারের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তবে সেখানে আগের দিনের তুলনায় সূচক কিছুটা বেড়েছে।
তবে ডিএসইতে কমলেও দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৯ শতাংশ। বুধবার ২৪ কোটি ৮২ টাকা লেনদেন হলেও বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, ডিএসইকে অবহিত করা হলেও তারা সমস্যার সমাধান না করেই সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু করে দিয়েছে। শেয়ার বিক্রি করতে না পারার কারণে বিনিয়োগকারীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। ডিএসইর সার্ভারে বার বার ত্রুটি দেখা দেয়ায় পুঁজিবাজারে লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে তারা জানান।
এদিকে টানা তিন দিনের পতনের পর দেশের উভয় বাজারে মূল্য সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে দিন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫.৭৪ পয়েন্ট। এর ফলে সূচক ৪ হাজার ৫৭৩.৭৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৩টি ইস্যুর মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১২৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। দিন শেষে ব্যাংকটির ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাশেম ড্রাই সেলের লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ১২ কোটি ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইফাদ অটোস, স্কয়ার ফার্মা, এএফসি এগ্রোবায়োটেক, ফার কেমিক্যাল, কেডিএস এক্সেসরিজ, এ্যাক্টিভ ফাইন, আরএসআরএম স্টিল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: