ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণরাই নাট্য আন্দোলনকে বেগবান করতে পারে ॥ অভিজিৎ সেনগুপ্ত

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

তরুণরাই নাট্য আন্দোলনকে বেগবান করতে পারে ॥ অভিজিৎ সেনগুপ্ত

অভিনেতা-নাট্যকার ও নির্দেশক অভিজিৎ সেনগুপ্ত। চট্টগ্রামের নান্দীমুখের কর্ণধার দীর্ঘদিন নাট্যান্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মঞ্চে এনেছেন ব্যতিক্রমী প্রযোজনা। দলটির ২৫ বছর পূর্তিতে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে নয় দিনব্যাপী ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১৫’। এ উৎসব ও থিয়েটার নিয়ে গুণী এ নাট্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা হয় । এবারের উৎসব সম্পর্কে বলুন অভিজিৎ সেনগুপ্ত : নান্দীমুখ নাট্যদলের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সর্বশেষ আয়োজন এ উৎসব। এ সময়টিকে স্মরণীয় করতে আমরা বছরব্যাপী উৎসবের নান আয়োজন করছি। এবারের উৎসব উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। প্রধান অতিথি থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। প্রতিদিন একাডেমির মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, পঞ্চকবির গানসহ সাংস্কৃতিক আয়োজনে থাকবে চট্টগ্রামের লোকগান, রবীন্দ্রনৃত্যের কোলাজ ও গণসঙ্গীত। এরপর মূল মঞ্চে সোয়া ৭টা থেকে শুরু হবে নাটকের মঞ্চায়ন। উৎসবে কয়টি দল নাটকে অংশ নিচ্ছে? অভিজিৎ সেনগুপ্ত : বাংলাদেশের ৩টি, নেপালের ১টি, ভারতের ৪টি ও নওয়ের ১টি দল মিলে মোট ৯টি প্রযোজনা নিয়ে ৯ দিনের এ উৎসব। উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যায় ভারতের অসম রঙ্গকথা নাট্যদলের প্রযোজনায় মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘সূত্র’। উৎসবে তো সম্মাননাও দেয়া হচ্ছে? অভিজিৎ সেনগুপ্ত : যার নাটক ‘অন ডিউটি’ দিয়ে চট্টগ্রামে নান্দীমুখের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে, সেই নাট্য ব্যক্তিত্ব আশীষ গোস্বামীকে সম্মাননা জানানো হবে। এছাড়া স্বাধীনদেশের নাট্যচর্চা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় যারা নাট্যচর্চাকে বেগবান করেছেন তাদের কর্মের মূল্যায়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫ জন নাট্য ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেয়া হবে। এরা হলেন- রাজশাহীর মলয় ভৌমিক, বরিশালের সৈয়দ দুলাল, চট্টগ্রামের রবিউল আলম, অধ্যাপক ম.সাইফুল আলম চৌধুরী ও আকবর রেজা। চট্টগ্রাম নাট্যাঙ্গনের বর্তমান অবস্থা কেমন? অভিজিৎ সেনগুপ্ত : মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে একটি বেগবানধারা কাজ করছে। এখানে তরুণ নাট্যকর্মীরা সৃজনশীল নাটক নির্মাণ ও নির্দেশনায় এগিয়ে এসেছে। সর্বাঙ্গীন বিবেচনায় বলা যায়, একটি গতিশীল নাট্যধারা বেগবান। দেশের সার্বিক থিয়েটার তথা নাট্য চর্চার অবস্থা কেমন ? অভিজিৎ সেনগুপ্ত : মূলত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া থিয়েটারের বিকাশ সম্ভব নয়। থিয়েটারের উন্নয়নে সরকারী, বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত। এছাড়া মঞ্চ সঙ্কট, মানসম্মত নাটক ও নিয়মিত নাট্যচর্চা একটি দেশের থিয়েটারকে এগিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া থিয়েটারের আগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে নাট্যচর্চা বাড়ানো কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে তরুণরাই নাট্যআন্দোলনকে বেগবান করতে পারে। -গৌতম পা-ে
×