ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জীববৈচিত্র্য আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

জীববৈচিত্র্য আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৫ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভা বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন, ২০১৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন, ২০১৫-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে জাতীয় গুণগত মান (পণ্য ও সেবা) নীতি, ২০১৫’-এর খসড়ার অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির পর তাদের পরিবারের কান্নাকাটি প্রচার করা হয়েছে। এই কান্না কাটির মাধ্যমে দেশের মানুষের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা যে অপকর্ম করেছে তাতো ওইভাবে দেখানো হয়নি। এগুলোতো ভালভাবে দেখানো উচিত ছিল। এছাড়া কোন কোন পত্রিকায় জোড়া ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আমলে তো কুড়ি জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। তাতো বলা হয় না। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৩ সালের ১০ জুন এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর এটাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা সংস্থা অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কোন জীববৈচিত্র্য বা জীবসম্পদের বিষয়ে তথ্য বা জ্ঞান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা বা বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে পারবে না। এ আইন ভাঙ্গলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ- অথবা উভয় দ- দেয়া যাবে। ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত খসড়াতেও একই সাজার কথা বলা হয়েছিল। জীববৈচিত্র্য বা এ সম্পর্কিত জ্ঞান ব্যবহারের অনুমতি দিতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। আর কমিটির কাজগুলো তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভাগ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরকারী এবং অংশীদার। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বার্থেই জীববৈচিত্র্য রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানে আমাদের বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি’তে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে। এ হিসেবেও আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।
×