ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

শনিবার সকালে অফিসে আসার সময় রিক্সাওয়ালা হেসে পাঁচ টাকা বেশি দাবি করল। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে বলল, আজ ফাঁসি হবে, তাই সেই খুশিতে বেশি দেবেন না? জবাব শোনার সময় না দিয়ে আবার বলল, কয়টা দিন ভাল ইনকাম হয় নাই। প্যাসেঞ্জার কম ছিল। রিক্সাওয়ালার কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু না বললেও হয়ত চলে। দুই হেভিওয়েট যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের রিভিউ খারিজ হওয়ার পর মানুষের ভেতর শঙ্কা বিরাজ করেছে, কোথায় কোন্ অঘটন ঘটানো হয়। এরই মধ্যে প্যারিসে দুই দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়ে গেল। সাকার টাকার অভাব নেই। তাই ঢাকায় প্যারিসের মতো না হোক, ছোটখাটো চোরাগোপ্তা নাশকতা হতে পারে- বহু মানুষেরই এমন ধারণা। তাই মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, কিংবা রিক্সাওয়ালা কাক্সিক্ষত যাত্রী পাচ্ছে না- এটা সঠিক বলে মেনে নিতে পারলাম না। তবে শনিবারে ফাঁসি হতে পারে- এই আনন্দে রিক্সাওয়ালার মুখে হাসি দেখে আর কণ্ঠে খুশির স্বর শুনে ভালই লাগে। এই ভাললাগার মূল্য মাত্র পাঁচ টাকা! ভাবছিলাম শনিবারেই ফাঁসি হবে এটা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তো বলা যাবে না। তবে মানুষের মনের চাওয়া হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি ল্যাঠা চুকে যায় ততই মঙ্গল। একদিন আগে বা পরে- ফাঁসি তো হবেই। তাই ঝুলিয়ে রাখা কেন! আবার এই ঢাকাতেই অনেক মানুষ আছেন তাদের মধ্যে একটুখানি অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি যদি তাদের ক্ষমা করে দেন? ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ- এমন বাক্য বেশ জনপ্রিয়। সাকার ফাঁসির ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আস্থাহীনতা কাজ করছে কিছুটা- বিষয়টা এমন নয় মোটেই। আসলে বিশ্বাস হতে চাইছে না যে সাকার মতো ধুরন্ধর, কৌশলী, মহাক্ষমতাবান যুদ্ধাপরাধীকে শেষ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে। এও সম্ভব? তাও প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল পরে! অসম্ভবকে সম্ভব করার কৃতিত্ব এই সরকারকে দিতেই হবে। এক্ষেত্রে জাতি বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ় সাহসী ভূমিকার কথা নিশ্চয়ই স্মরণে রাখবে। দেখতে দেখতে চার-চারজন যুদ্ধাপরাধীর চরম দ- কার্যকর করা হলো। জাতির জন্য এ বিশাল সুসংবাদ। সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ার পর বহু তরুণ উল্লাসে মেতেছে- এটিও তাৎপর্যপূর্ণ দিক। আজকের তরুণরা একাত্তরের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। এ জন্য অনেকখানি কৃতিত্ব পাবেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। শুধু মিষ্টিমুখ করানো নয়, ঢাকায় টিএসসিতে গরু ও ছাগল জবাই করে মহাভোজের বন্দোবস্ত করা হয়। একেকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হচ্ছে, আর বাংলাদেশও একটু একটু করে কালিমা ঝেড়ে ফেলছে। আগামী দিনগুলো নতুন স্বপ্নে আর অঙ্গীকারে ভরিয়ে তোলার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে কতই না ভাল হবে। জোড়া প্রাণভোমরা যখন প্রাণভিখারি শনিবার রাতে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি হবে এ খবর রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছিল সন্ধ্যার পরপরই। ফাঁসির আগে আগে জেলখানায় যেসব তৎপরতা শুরু হয়, তার লক্ষণ দেখে সাংবাদিকরা আগাম ধারণা দেন। আগের দুই যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল মধ্যরাতে। এবারও নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম হবে না- এমনটাই ধারণা ছিল মানুষের। তাই সচেতন ও কৌতূহলী মানুষ টিভি সেটের সামনে বসে যান রাত বারোটার অনেক আগেই। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর এদেশীয় দোসরদের পালের গোদা যদি হয় গোলাম আযম, তাহলে প্রাণভোমরা হবে সাকা-মুজাহিদ-নিজামি গং। কারও আর জানতে বাকি থাকে না যে একাত্তরে রাজাকার আলবদর আলশামসের জোড়া প্রাণভোমরা শনিবার দিনের বেলা প্রাণভিখারি হয়ে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি বরাবরে তারা আবেদন জানান যাতে তাদের প্রাণরক্ষা হয়। সেখানেও ছল ও কৌশল! ওই আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করে দিলে ফাঁসি কার্যকরে আর কোন বাধা থাকে না। কালবিলম্বও অপ্রয়োজনীয়। তাই শনিবার রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে সিদ্ধান্ত হয়। মানুষের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলো। সরাসরি সম্প্রচারে গেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে ওঠে কোটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ক্যামেরার চোখ দিয়ে আর কতটুকুই বা দেখা যায়। নিষ্ঠুরভাবে বাঙালী হত্যায় যারা মেতেছিল ফাঁসির দড়ি পরার আগে সেই নরাধমদের চেহারাখানি যদি দেখা যেত! এরই মধ্যে জেলগেটে মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিত হতে থাকলে মানুষের হৃদয় আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠে। দু’ দফাই প্রত্যাখ্যান নরঘাতক সাকা-মুজাহিদের রিভিউ খারিজ এবং দ- কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর পাঁচদিনে দুই দিন হরতাল ডাকল জামায়াত। বৃহস্পতি ও সোমবার। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ওই হরতাল আহ্বান পুরোপুরি মাঠে মারা গেছে। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে দুটি হরতালই। অবশ্য ফাঁসি কার্যকরের আগের হরতালে ঢাকায় প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তাই অন্যান্য বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ উইকএন্ডের দিনটির মতো অসহনীয় যানজট ছিল না মহানগরীতে। তবে দ্বিতীয় হরতালে সোমবার ঢাকা ছিল যথারীতি যানজটের শহর। তারপরও হরতালে এখন একটা বিষয় এড়ানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে মানুষ যে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না। সেটি হলো শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানো। রাজধানীর ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলো মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে স্কুল বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে দেয় আগেভাগে। এটা এক অর্থে অনানুষ্ঠানিক বন্ধ, প্রচারমাধ্যমে ঘোষণা আসে না। কিন্তু গতকাল সোমবারের হরতালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পড়ায় কর্তৃপক্ষকে আগাম ঘোষণা দিতে হয়েছে। ফাঁসির দড়িতে ঝোলা সাকা-মুজাহিদের পরম মিত্র জামায়াতের ডাকা হরতালে এই একটিমাত্র দৃশ্যমান ক্ষতি হলো। সঙ্কটে মহিলা হোস্টেল মধ্যরাতে নীলক্ষেত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের নারীদের সড়ক অবরোধের সংবাদটি কিছুকাল আগে তাৎক্ষণিকভাবেই প্রকাশিত হয়েছিল অনলাইন বার্তা সংস্থায়। সিটভাড়া বৃদ্ধি করায় নীলক্ষেত মোড় থেকে কাঁটাবন সড়ক পর্যন্ত তারা অবরোধ করেন। কৌতূহলী সংবাদই বটে। বিক্ষোভকারীরা জানান, নোটিস ছাড়াই সরকারী কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের সিটভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করেছে সরকার। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। ৭০০ টাকার সিটভাড়া করা হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ টাকার সিটভাড়া এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এক হাজার ৫০০ টাকার সিটভাড়া করা হয়েছে তিন হাজার টাকা। যেসব নারী সাবলেট থাকেন কিংবা ফ্ল্যাটে অন্য নারীদের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকেন তাদের কাছে বৃদ্ধি সত্ত্বেও ওই সিট ভাড়া নিশ্চয়ই খুব কমই মনে হবে। যা হোক, মহিলা হোস্টেল নিয়ে একজন পুরুষ লেখকের পক্ষে হলফ করে কিছু লেখা অসম্ভব। এক্ষেত্রে অন্যের মুখেই ঝাল খেতে হবে। ওই মহিলা হোস্টেল সম্পর্কে যেটুকু জানতে পেরেছি তাতে বুঝতে পারছি সেখানেও কিছুটা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এক নারী সাংবাদিকের সৌজন্যে আমরা জেনেছি যে, বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট, আলোর স্বল্পতা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, শ্যাওলা জমা অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ও বাথরুম, নিরাপত্তাহীনতা, মেয়াদোত্তীর্ণ বোর্ডারদের অশোভন অত্যাচার, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও হোস্টেলজুড়ে দুর্গন্ধ-অপরিচ্ছন্নতার জন্য অভিযোগ করেছেন হোস্টেলের বোর্ডাররা। তারা জানান, দীর্ঘ সময় বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অনেক সমস্যার ভেতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। শীত না আসতেই বিয়ে উৎসব বিয়ে মানেই উৎসব, তাহলে বিয়ে উৎসব কী? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিয়ে উৎসবের জন্য যেসব আয়োজন করা লাগে, প্রধানত বর-কনের সাজপোশাক- তারই হালফ্যাশনের প্রদর্শনী ও বিক্রয়মেলাই হচ্ছে বিয়ে উৎসব বা ব্রাইডাল ফেস্টিভ্যাল। বিয়ের অনুষ্ঠান করতে যা কিছু প্রয়োজন এ সবকিছুকে এক ছাদের নিচে নিয়ে রাজধানীতে গত সপ্তাহে হয়ে গেল বিয়ে উৎসব। তিন দিনব্যাপী ব্রাইডাল ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করেছিল ওয়েডিং এ্যান্ড পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফার্স অব বাংলাদেশ (ডব্লিউপিপিবি)। সাজপোশাক থেকে শুরু করে গহনা, ভেন্যু, ডালা, স্টেজ, মেহেদি, ফটোগ্রাফি, হানিমুন পর্যন্ত উৎসবের আয়োজন অনেক। উৎসবে অংশগ্রহণ করে দেশের স্বনামধন্য বেশ কিছু ওয়েডিং প্ল্যানার, মেকআপ আর্টিস্ট, ফটোগ্রাফার, সিনেমাটোগ্রাফার থেকে শুরু করে ক্যাটারার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ওয়েডিং ডায়েরি, ব্রাইডাল মোমেন্ট, ইশরাত আমিন ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং স্টোরি, কৃ ইভেন্টস, স্টেশন ওয়েডিং, ওয়েডিং মোমেন্টস, রেড, সাজ, রিজেন্সি হোটেল, ফ্যাশন অপটিকস, অরেঞ্জ ট্রাভেল ম্যাকার্স, ফটো আর্টিস্ট, ড্রিম এ্যান্ড ডিভাইন, আপন, দোসা এক্সপ্রেস, ফখরুদ্দিন, ঢাকা ফুডিজসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। শীত মৌসুমে রাজধানীতে বিয়ের হিড়িক পড়ে যায়। তাই শীত জমে ওঠার আগেই এ ধরনের উৎসব বর-কনের অভিভাবকদের জন্য বেশ উপকারী। বিপিএলে বিপুল আনন্দ ‘ক্রিস গেইল খেলছে?’ ‘খেলবে, কিন্তু আরও দু’সপ্তাহ পরে।’ শুনে প্রশ্নকারী কিছুক্ষণ হা হয়ে থাকল। কথা হচ্ছিল দুই বন্ধুতে। দেরি হলেও ক্রিস গেইল আসছে, এটাই অনেক সান্ত¡না। রবিবার শুরু হয়ে গেছে বিপিএল মানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। প্রথম ম্যাচেই জমে ওঠে টুর্নামেন্ট। রংপুর রাইডার্স বনাম চিটাগাং ভাইকিংস ম্যাচটার ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে একেবারে শেষ বলে। তার মানে খেলায় ছিল টান টান উত্তেজনা। হাই স্কোরিং ম্যাচ। বিশাল রানের পাহাড় টপকে যাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে কী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটাই না হয়েছে রংপুর ও চট্টগ্রামেÑ মানে দুই টিমে। সাকিব ব্যাটে-বলে সফল না হয়েও অধিনায়ক হিসেবে সফল হলেন। ঢাকার মাঠে হচ্ছে বটে খেলা, যদিও গোটা দেশের, শুধু দেশের কথাই বা বলি কেন, বহু দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী উপভোগ করছেন এই বিপিএল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ক্রিকেটারদের স্বল্প সময় ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় কিছু করার এক দারুণ লড়াই। এতে দায়িত্বশীলতা, পেশাদারিত্ব এবং টিমওয়ার্কের চূড়ান্ত রূপ প্রত্যক্ষ করা যায়। আর সে কারণেই আইপিএল এবং বিপিএল ক্রিকেট দর্শকদের কাছে এত বেশি আকর্ষণীয়। বিদেশী খেলোয়াড়দের সহযোগী (টিমমেট) এবং প্রতিপক্ষ হিসেবে যত বেশি টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া যাবে ততই দেশীয় ক্রীড়ার উৎকর্ষ ঘটবে। বিশেষ করে দেশের মাটিতে এ ধরনের আয়োজনে খেলোয়াড়রা আরও বেশি উদ্বুদ্ধ ও সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ পান, তা বলাই বাহুল্য। প্রিয় মেয়র, আপনাকেই বলছি আমরা এই কলামে ঢাকার দুই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান ও অনিয়মের সুরাহা চাইছি। এটা নিছক অনুরোধ নয়, সমাজেরই দাবি। আজ আমরা তুলে ধরব মিরপুর ২ নম্বর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ ফুট নতুন রাস্তাটির কথা। এক বছর আগে চালু হয়েছিল রাস্তাটি। এই সড়কের প্রস্থ সূচনাকালে ৬০ ফুট থাকলেও এখন কমে এসেছে ৩০-৪০ ফুটে। প্রায় পৌনে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি এখন রাজধানীর আর দশটি চালু সড়কের মতোই দূষণ-দখলে বিপর্যস্ত। রাস্তাটির ফুটপাথ এবং রাস্তার অনেকাংশ দখল হয়ে গেছে। গড়ে উঠেছে দোকানপাট, বাজার। রাখা হয়েছে ময়লার কনটেনার। সড়কটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দুটি ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। আগারগাঁও অংশটি ২৮ নম্বর এবং মণিপুর অংশটুকু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। মণিপুর মোল্লাপাড়া এলাকার বারেক মোল্লা মোড়ে এসে সড়কটির প্রস্থ যেন ২০-২৫ ফুট হয়ে গেছে। সড়কের এক পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাট বাকি রাস্তা দখল করে ফেলেছে। সড়কে বাঁশের ঘেরাও দিয়ে তার মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১০টি দোকান। প্রিয় মেয়র, যথাযথ ব্যবস্থা নিন। ২৩ নবেম্বর ২০১৫ [email protected]
×