ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা সেচ খালের বাঁধে ভাঙ্গন

পাঁচ শতাধিক বিঘা জমির আমন পানির নিচে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

পাঁচ শতাধিক বিঘা জমির আমন পানির নিচে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর প্রধান সেচ ক্যানেলের ডান তীর বাঁধের ২০ ফুট বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সিংদই ও কানিয়ালখাতা নামের দুটি এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক বিঘা পাকা আমন ক্ষেত তলিয়ে দিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্র্ডের গাফলাতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আহাজারি করছে। রবিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলের গেলে এলাকার কৃষকরা জানায় অনেকে পাকা আমন ধান কেটে শুকানোর জন্য ক্ষেতেই ফেলে রেখেছিল। কেউ বা ধান কাটার প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় এ ঘটনায় সিংদই ও কানিয়ালখাতা মৌজার পাঁচ শতাধিক বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে বলেছে এ ঘটনার খবর দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা এলাকায় আসেনি। জানা যায়, সেচের জন্য কৃষকদের বর্তমানে পানির প্রয়োজন না থাকলেও হঠাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ওই প্রধান সেচ ক্যানেলে তিনদিন থেকে পানি ভরে রাখা হয়। একটি সূত্র জানায়, ওই ক্যানেল পরিদর্শনে আসার কথা ছিল পানি উন্নয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) বেলায়েত হোসেনের। কিন্তু পরিদর্শনের আগেই ওই ক্যানেলে চাঁদেরহাট আর-থ্রী ডি জলকপাট থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে সিংদই মৌজার পাইলাভাঙ্গায় শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ৫০ ফুট ডান তীর বাঁধ বিধ্বস্ত হয়। কৃষকদের অভিযোগ প্রতি বছর ক্যানেলের সংস্কারের লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও নামমাত্র সংস্কার করে টাকা আত্মসাত করা হয়। এতে ক্যানেলের মাটির বাঁধে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত এবং অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়। ফলে বিধ্বস্ত স্থান দিয়ে ক্যানেলের পানি হু-হু করে প্রবেশ করে পাকা আমন ধান ক্ষেতে। বিধ্বস্ত স্থান দিয়ে পানির সঙ্গে বালি ও পলি জমে প্রায় ১০ হাজার মণ ধান বিনষ্ট হয়েছে। ইটাখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদেরহাট আর-থ্রী ডি জলকপাট বন্ধ এবং ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা টি-টু-ডি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি ভিন্ন পথে অপসারণ করা হয়। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মাহবুদ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, বাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
×