ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গফরগাঁও হাসপাতালে চার বছর ধরে প্রসূতি সেবা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২২ নভেম্বর ২০১৫

গফরগাঁও হাসপাতালে চার বছর ধরে প্রসূতি সেবা বন্ধ

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও থেকে ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম। এ্যানেসথেসিয়ান সঙ্কটে বছরের পর বছর বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে প্রসূতি বিভাগের কোটি টাকার মেশিনসহ যন্ত্রাংশ। চিকিৎসা না পেয়ে প্রতি বছরে গড়ে অন্তত দুইশ গর্ভকালীন নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা চিকিৎসা না পেয়ে দ্বিগুণ টাকা খরচ করে ময়মনসিংহের বিভিন্ন ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ উম্মে ওয়ারা খান চৌধুরী জানান, আমি গত প্রায় ৮ মাস আগে এখানে যোগদান করি। এরপরই জানতে পারলাম প্রায় ৪ বছর ধরে একজন এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে জরুরী প্রসূতি সেবা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর (সিএমএইচডি) থেকে মেশিন, ওটি লাইট, স্ট্যান্ড বাই লাইট, ডাইয়া থার্মি মেশিন, বেবী ইনকেভেটর, রক্ত সঞ্চালন মেশিনসহ কোটি টাকার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। সূত্র জানায়, প্রতি মাসে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী প্রসূতি সেবা নিতে শতাধিক রোগী আসে। তার মধ্যে ১৫/২০ রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে রেফার্ড করা হয়। আর যেখানে রেফার্ড করা হয় সেখান থেকে কমিশন বাণিজ্যও করে ডাক্তাররা। এতে করে সরকারী হিসাবে বছরে ৯০/৯৬ রোগীর গর্ভস্থ নবজাতকের মৃত্যু হয়। তবে বেসরকারী এনজিওর জরিপে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে দুই শতাধিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ডাক্তার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে এখানে কোন এ্যানেসথেসিয়ার ডাক্তার আসে না। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন যাবৎ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। তবে বিষয়টি সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রজতজয়ন্তী নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২১ নবেম্বর ॥ ভবানীপুর ডিগ্রী কলেজে রজতজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমেদ হোসেন, এম সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল মুত্তালিব, আমিনুল ইসলাম, ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২১ নবেম্বর ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ঘাসিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ও সুবাস বাবুর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টায় বিদ্যালয় হলরুমে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় দৈনিক অনুপমার সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক রোটাঃ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন।
×