ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুই ঘৃণ্য অপরাধীকে শেষ পর্যন্ত দোষ স্বীকার করতেই হলো

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২২ নভেম্বর ২০১৫

দুই ঘৃণ্য অপরাধীকে শেষ পর্যন্ত দোষ স্বীকার করতেই হলো

বিকাশ দত্ত ॥ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত গণহত্যাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটনের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং আলবদর প্রধান আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদ- বহাল রাখায় এটাই প্রমাণিত হলো যে, “পাপ বাপকেও ছাড়ে না”। সাকা চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাধীন আইন ব্যবস্থার দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের উদ্দেশ করে মুজাহিদের রক্তচক্ষু- সব কিছু উপেক্ষা করে, আইন নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে, প্রমাণ করেছে- “তুমি মন্ত্রী-এম.পি. যেই হও না কেন, আইন সবার জন্য সমান”। একাত্তরের আলবদর প্রধান মুজাহিদ ও নিজস্ব বাহিনীর স্বঘোষিত ব্রিগেডিয়ার সাকা চৌধুরী একাত্তরে মানুষ হত্যা করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এর পর দুই জনই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দোর্দ- প্রতাপে চলেছেন। কিন্তু কৃতকর্মের জন্য তাদের শেষ রক্ষা হলো না। কিভাবে তাদের এই উত্থান-পতন হয়েছে তা জনগণের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য অপরাধ স্বীকার করে শেষ পর্যন্ত দুই অপরাধীই রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। অথচ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে তারা দম্ভ করে বলেন, কোন অপরাধ করেননি। কে এই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ॥ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত রাজনৈতিক পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি ১৩ মার্চ ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী কর্তৃক পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী হিসেবে গঠিত আলশামসের মূল নেতৃত্বদানকারী। ফজলুল কাদের চৌধুরীর জ্যেষ্ঠপুত্র সাকা ছিলেন স্বঘোষিত ব্রিগেডিয়ার। ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপকর্মের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে আহত হবার পর তিনি দেশত্যাগ করেন। ১৯৭৪ সালে গোপনে দেশে ফেরার পর আত্মগোপনরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা পরবর্তীতে স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একই কায়দায় তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আসনের মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালের পর থেকে এরশাদ সরকারের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে সেই সরকারের ত্রাণ, পুনর্বাসন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করে এককভাবে রাজনৈতিক দল এনডিপি (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) গঠন করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এনডিপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পূর্বে এনডিপি বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পুনরায় একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. হাসান মাহমুদের কাছে পরাজিত হলেও ফটিকছড়ি আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কে এই মুজাহিদ ॥ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ১৯৭১ সালের ১১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি নুরুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জনৈক মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মোস্তফা আল-মাদানীর মৃত্যুর জন্য কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীকে দায়ী করে বলেন, দুষ্কৃতকারীদের এর পরিণতি ভুগতেই হবে। এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধকারীদের দুষ্কৃতকারী উল্লেখ করে তাদের পরিণাম ভুগতেই হবে উক্তির মাধ্যমে প্রকারান্তরে মুক্তিকামী বাঙালী জনগোষ্ঠীকে নির্মূলের প্ররোচনা দেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় তার নেতৃত্বে ও নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্যসহ ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীরা এসব বাহিনী গঠন করে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালীদের আটক, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও গণহত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধ ব্যাপকভাবে অব্যাহত রাখে। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠন করেন আলবদর বাহিনী। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। অক্টোবর থেকে সেই বাহিনীর প্রধান হন আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। ওই সময়ে ইসলামী ছাত্র সংঘ ছিল জামায়াতের ইসলামীর ছাত্র শাখা। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘ সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের উপস্থিতিতে নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী বলেন, পাকিস্তান কোন ভূখ-ের নাম নয়, একটি আদর্শের নাম। এই ইসলামী আদর্শের প্রেরণাই পাকিস্তান সৃষ্টি করেছে এবং এই আদর্শই পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। এ সময় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কয়েকটি প্রস্তাব পাঠ করেন। স্বাধীনতাকামী নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালীদের আটক, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞসহ নানা অপরাধ ব্যাপকভভাবে অব্যাহত রাখে আসামির উপরোক্ত বক্তব্যে দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- এবং এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অবরুদ্ধ বাংলাদেশ) তার অধীনে সহযোগী বাহিনীর মাধ্যমে সহায়ক এবং সম্পূরক অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার এবং উক্তরূপ অপরাধ কার্যক্রম হতে বিরত না রাখায় মুজাহিদের ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী আয়োজিত গণসমাবেশে আলবদর প্রধান ও পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ হিন্দুস্তানের সম্প্রসারণবাদের প্রতি ‘মরণ আঘাত’ হানার আহ্বান জানান। তিনি পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য হিন্দুস্তানকে খতম করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে জানান। মুজাহিদের নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনী এদেশের মুক্তিকামী বুদ্ধিজীবীদের ও নিরীহ নিরস্ত্র মুক্তিকামী বাঙালীদের তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে, গণহত্যা চালায়। সাকার যত দম্ভোক্তি ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এই বিচার নিয়ে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী বার বার কটাক্ষ করেছেন। বিচারের প্রতিটি পর্বে নিজের অতীত ও বর্তমান নিয়ে দম্ভোক্তি করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির প্রতি বিদ্রƒপ করেছেন। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল ৩ নম্বর অভিযোগ পড়ার সময় সাকা চৌধুরী বলেন, ‘যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক মারা গেছে তো? লেইখা দিলেই হয়, তার মধ্যে ২০ লাখ আমি মারছি।’ তিনি বলেন, ‘রায় তো গতকালই ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। এই রায় এখান থেকে হয়নি। এই রায় বেলজিয়াম থেকে এসেছে।’ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগের বর্ণনার সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সাকা চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘সে মদ বেচত।’ সাজা ঘোষণা শুরু হলে সাকা চৌধুরী বলেন, ‘তাড়াতাড়ি ফাঁসি দিয়ে দাও। সাঈদীর মতো লোকরে ফাঁসি দিছে, আমি তো মস্ত বড় গোনাগার।’ রায় পড়া শেষে তিনি উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, ‘এ রায় তো আগেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়েছে।’ ২০১২ সালের ১৪ মে আদালত কক্ষের শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং চিৎকার করে কথা বলার জন্য সাকা চৌধুরীকে সতর্ক করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এতে সাকা চৌধুরী উচ্চস্বরে বলেছিলেন, ‘মিস্টার নিজামুল হক (ট্রাইব্যুনাল-১-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক), ডোন্ট শো ইউর রেড আইজ, আই রিকোয়েস্ট ইউ উইথ ডিউ রেসপেক্ট এ্যান্ড হিউমিলিটি।’ (জনাব নিজামুল হক, চোখ রাঙাবেন না, যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সঙ্গে বলছি।) ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে প্রথম হাজিরার দিন সাকা চৌধুরী বলেন, ‘আমি সিটিং মেম্বার অব পার্লামেন্ট। আমাকে কথা বলতে দিতে হবে। বর্তমান সরকার কারজাই সরকার। এই কারজাই সরকারকে মানি না।’ ট্রাইব্যুনালে বিএনপির সমর্থক ও আইনজীবীদের ঢোকা নিয়ে হইচই হলে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে ৫০০ কেন, ৫০০০ আইনজীবী আসবে। প্রয়োজনে কাওরান বাজার, পল্টন ময়দানে বিচার হবে।’ অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে আপীল বিভাগেও নানা ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন সাকা চৌধুরী। গোটা বিচার জুড়েই সাকা চৌধুরী শুধু প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, যে সময়ের ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, ওই সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। ওই সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। আর মুজাহিদও প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তাকে রাজনৈতিকভাবে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি অপরাধী নন। যদিও তাদের সব কূটচালই ধরা পড়ে বিচারকদের চোখে। ট্রাইব্যুনালেও সাকা-মুজাহিদের মৃত্যুদ-ের রায় আসে। আপীল বিভাগেও বহাল থাকে সেই রায়। অবশেষে একাত্তরের সেই অমানুষিক ঘটনাগুলো নিজেরাই ঘটিয়েছেন বলে দোষ স্বীকার করলেন শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধী। দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও করলেন। এতদিন যে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকরা দাবি করে আসছিল, এই বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না, নির্দোষ ব্যক্তিদের বিচার করা হচ্ছে তা ভুল প্রমাণিত হলো। যুদ্ধাপরাধীদের সেই সমর্থকদের নির্দোষ ব্যক্তিরাই নিজেদের দোষ স্বীকার করলেন। মুজাহিদ ॥ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল। তার পিতার নাম মৃত মাওলানা আব্দুল আলী। মাতা-মৃত বেগম নুরজাহান। জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৮। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন পশ্চিম খাবাসপুর। ঢাকার ঠিকানা-রোড নং-১০, বাসা নং-০৫, ফ্ল্যাট-২/এ, সেক্টর-১১, থানাÑউত্তরা, ঢাকা। আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ১৯৬৪ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে অধ্যয়নকালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষের দিকে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮-১৯৭০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালে ডিসেম্বরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭১ জানুয়ারি/ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা জেলা ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মনোনীত হন। ঐ বছরের আগস্ট/সেপ্টেম্বরে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। অক্টোবর মাসে নির্বাচিত হন এ সংগঠনের প্রাদেশিক সভাপতি এবং ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল ছিলেন। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কোন নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে পারেননি। ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদের বিএনপি-জামায়াত জোট নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকারের তিনি সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ছিলেন।
×