ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা ব্যারাজ প্রধান সেচ খালের মাটি বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২১ নভেম্বর ২০১৫

তিস্তা ব্যারাজ প্রধান  সেচ খালের মাটি  বিক্রির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তিস্তা ব্যারাজের বগুড়া প্রধান সেচ খালের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোডের সৈয়দপুর বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তিস্তা ব্যারাজ সেচ ক্যানেলের সম্প্রসারণ কাজ শুরু করা হয়। এসটুবি নামের নতুন সেচ খালের জন্য এটি নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ি থেকে পনে চার কিলোমিটার ঘনিরামপুর পর্যন্ত তৈরি করা হবে। এ জন্য গত অর্থবছরে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পায় মেসার্স টেকডে নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আবার মূল ঠিকাদার কাজটি বিক্রি করে দেয় অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ করিমের কাছে। এ ঠিকাদার কাজ শুরু করেন গত অর্থবছরের পহেলা জুন থেকে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৬ সালের পহেলা জুনে। অভিযোগ মতে, সেচ ক্যানেল নির্মাণে বাইরে থেকে ভারি ও শক্ত মাটি সংগ্রহ করে সেচ খালের দুই ধারে বাঁধ তৈরি করতে হবে। কিন্তু সেটি না করে পূর্বের তৈরি সেচ খালের ভেতর থেকে অবৈধভাবে নরম মাটি কেটে নতুন সেচ খাল তৈরি করা হচ্ছে; যা নিয়মবহির্ভূত। অভিযোগে বলা হয়, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তারা ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকায় সেচ খালের ভেতরের মাটি বিক্রি করেছে। ফলে পূর্বের প্রধান সেচ খালে ১ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় চার ফুট গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার কৃষক দেবেন্দ্র নাথ রায় জানান, বগুড়া প্রধান খালের প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে চার ফুট গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যানেলে পানি ছাড়া হলে ওই স্থানের দুই পাড় ভেঙ্গে শত শত ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপােের সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সহীদ বলেন, বগুড়া প্রধান সেচ খালের বেডের মাটি কাটার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। দফতরের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×