নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২০ নবেম্বর ॥ জেলায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার অভিযোগে সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোদাচ্ছের হোসেনসহ দুই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন-জেলার নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আবুল কালাম ও পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ আব্দুল হক। তাদের তিনজনকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার বিররণে জানা যায়, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে জেলার বিভিন্ন স্কুলে ১৫৮টি শূন্য পদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, এসব নিয়োগে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোদাচ্ছের হোসেন ও দুই অফিস সহকারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটা দেখিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই সময় তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাদের। একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৬ নবেম্বর জেলা শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।