ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমন চাষ ॥ তবুও দাম কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২১ নভেম্বর ২০১৫

প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমন চাষ ॥ তবুও দাম কম

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ২০ নবেম্বর ॥ আমনের মৌসুম শুরুতে অনাবৃষ্টি ও অতিবর্ষণের সঙ্গে যুদ্ধ করে কৃষকরা জমি চাষাবাদ করলেও এ বছর আমতলী-তালতলীতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেক কৃষক ধান কাটতে শুরু“ করেছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় তারা বিপাকে পড়েছে। জানা গেছে, এ বছর আমনের মৌসুম শুরুতে এক মাস (জৈষ্ঠ মাস) অনাবৃষ্টিতে কৃষক মাঠে যেতে পারেনি। এরপরে শ্রাবণ মাসে অতিবর্ষণের ফলে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। কৃষক সময়ের পরিবর্তনে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে ফের বীজতলা তৈরি করে। সেই বীজতলা দিয়ে চারা করে আমন ক্ষেতে বপন করেছে। প্রতিকূলতার মাঝে যুদ্ধ করে চাষাবাদ করলেও এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার আমতলী বাঁধঘাট, ছোটবগী ও তালুকদারবাজার ঘুরে দেখা গেছে, জাতভেদে আমন ধান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আমতলীর চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের আবদুল জব্বার মৃধা জানান, এ বছর আমনের এত ভাল ফলন হবে বুঝতে পারিনি। যেভাবে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে কৃষক জমি চাষাবাদ করেছে। তিনি আরও জানান, কৃষকদের একমণ ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৭শ’ থেকে ৭৫০ টাকা কিন্তু বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫০০ টাকা। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকরা হতাশ। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারকে ধান ক্রয়ের দাবি জানান। মহিষকাটা গ্রামের মাকসুদুর রহমান জানান, ১৫ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ হবে না। পূর্ব কুকুয়ার কৃষক মাইনুদ্দিন জানান, এ বছর বান বন্যার পরেও মোরা ভাল ধান পামু, বাজারে ধানের দাম এ্যাতো কোম যে মোগো খরচ উঠবে না। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম বদরুল আলম জানান, এ বছর প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে হলেও কৃষকরা আমনের বাম্পার ফলন পেয়েছে।
×