ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রবীন্দ্রনাথের গান জীবনের কথা বলে ॥ অনিমা রায়

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ নভেম্বর ২০১৫

রবীন্দ্রনাথের গান জীবনের কথা বলে ॥ অনিমা রায়

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অনিমা রায়। রবীন্দ্রনাথের গানে নিবেদিত এই শিল্পী বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক। গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আজ সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পীর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের ষষ্ঠ একক ‘প্রাণের মাঝে আয়’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। অনুষ্ঠানে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এ্যালবাম ও আজকের পরিবেশনা নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ‘প্রাণের মাঝে আয়’ এ্যালবাম নিয়ে বলুন অনিমা রায় : বাংলাদেশ থেকে এটি আমার ষষ্ঠ এ্যালবাম। রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্যায়ের ১২টি গান নিয়ে সাজিয়েছি এ্যালবামটি। এটি প্রকাশ করেছে লেজার ভিশন। সবক’টি গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন কলকাতার প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক প্রত্যুষ বন্দোপাধ্যায়। আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান, প্রাণ চায় চক্ষু না চায়, দূরে কোথাও দূরে দূরেসহ বেশ কিছু গান রয়েছে, যেগুলো কোন এক সময়ে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সাগর সেনের মতো শিল্পীরা গেয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন। এ্যালবামটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন? অনিমা রায় : ইতিপূর্বে আমার যে এ্যালবামগুলো বের হয়েছে, তাতে শ্রোতাদের সাড়া মিলেছে অনেক। আমি মনে করি এ এ্যালবামটিতে তার চেয়েও বেশি সাড়া পাব। এবারের এ্যালবামটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আজকের পরিবেশনা নিয়ে বলুন.. অনিমা রায় : আমার আগের এ্যালবাম ‘তোমারই বিরহে’ ও ‘প্রাণের মাঝে আয়’ থেকেই গান করব। এছাড়া শ্রোতারা আমার যে গান পছন্দ করে তার কিছুও থাকবে আমার পরিবেশনায়। আপনার আগের এ্যালবামগুলো নিয়ে জানতে চাই। অনিমা রায় : ২০০৮ সালে কলকাতার রাগ মিউজিক থেকে ‘অচেনা পরদেশী’ নামে আমার প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ্যালবাম প্রকাশ হয়। একই বছর আমাদের দেশের ফাইম মিউজিক থেকে ‘প্রতীক্ষা’ নামে কলকাতার রত্মা মিত্র ও আমার ডুয়েট এ্যালবাম বের হয়। লেজার ভিশন থেকে ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৫ সালে প্রকাশিত এ্যালবাম যথাক্রমে ‘কোথা যাও’, ‘আমি চিত্রাঙ্গদা’ ‘ইচ্ছামতি’ ও ‘তোমার বিরহে’। এছাড়া ২০১৪ সালে ইমপ্রেস অডিও থেকে প্রকাশিত হয় একক এ্যালবাম ‘রবির আলো’। আপনার সঙ্গীতাঙ্গনে পথচলার কথা বলুন.. অনিমা রায় : শিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তীর কাছে আমার গানে হাতেখড়ি। পরে শিল্পী সাধন চন্দ্র বর্মণের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসঙ্গীতে তালিম নিয়েছি। এরপর শিল্পী মিতা হকের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং একই সময়ে ছায়ানট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগে ভর্তি হই। আমি ২০০২ সালে মিউজিকে এমএ ২০১৪ সালে এমফিল করি। চর্চার জন্য রবীন্দ্রসঙ্গীতকে কেন বেছে নিলেন? অনিমা : আমার শুরু রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে। যখন পরিমিত বোধ এলো, তখন একটু একটু করে তাঁর গানকে ভালবেসে ফেললাম। রবীন্দ্রনাথের গান জীবনের কথা বলে। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার আপনার চেয়ে আপন। আমাদের দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা নিয়ে বলুন.. অনিমা : শুধুমাত্র শহরে নয়, গ্রামগঞ্জেও এখন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখছে অনেকে। এটা নিশ্চয়ই একটা আশার বাণী বয়ে আনে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে এর পরিবেশনা হয়, এটা উচিত নয়। সমাজে ভাঙা-গড়ার খেলা চলতে থাকবে, এরমধ্যেও রবীন্দ্রসঙ্গীত টিকে থাকবে। যারা জেনে-বুঝে গান করবে তাদের শক্তি বেশি, তারাই টিকে থাকবে। Ñগৌতম পা-ে
×