ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রক্রিয়াজাত মাংসে ক্যান্সার!

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২০ নভেম্বর ২০১৫

প্রক্রিয়াজাত মাংসে ক্যান্সার!

সকালের নাস্তায় কি মাংস খেয়েছেন? দুপুরের বা রাতের খাবারের মেন্যুতেও কি মাংস ছিল? আপনার খাবারের টেবিলে কি প্রতিদিনই মাংস থাকে? তাহলে আপনাকে এখন একটু সংযত হতে হবে। কেননা বিজ্ঞানীরা বলছেন, রেড মিট অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়া বা শূকরের মাংস খাওয়া বা প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্যান্সার গবেষণা সংক্রান্ত তাদেরই এক এজেন্সি এক গবেষণা রিপোর্টে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত করা মাংস অর্থাৎ সসেজ, হ্যাম, সালামি বা হট ডগ জাতীয় খাবারকে ‘কার্সিনোজেনিক’ অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম বলে শ্রেণীভুক্ত করা যেতে পারে। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. কুর্ট স্ট্রাইফ। তিনি বলছেন, ‘মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের সঙ্গে ক্যান্সারের কি ধরনের সম্পর্ক সে বিষয়ে আটশোরও বেশি গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণা থেকে যে বিষয়ে শক্তিশালী তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তা হলো- প্রক্রিয়াজাত করা মাংস বেশি খেলে কোলো-রেক্টাম অর্থাৎ বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সার হতে পারে।’ জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম করে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলেও অন্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে প্রক্রিয়াজাত নয় এমন লাল মাংসের ক্ষেত্রে চিত্রটা অত পরিষ্কার নয়। জরিপে বলা হচ্ছে গরু, ভেড়া বা শূকরের মাংস খেলে ক্যান্সার হতে পারে এমন ‘সীমিত’ প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবে এর অন্য ব্যাখ্যাও করা সম্ভব। যেসব কারণে ক্যান্সার হতে পারে বলে ধারণা করা হয় সেরকম পাঁচটি এজেন্টের তালিকায় সবার উপরে রাখা হয়েছে প্রক্রিয়াজাত করা মাংসকে। রেড মিটের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকির কথা বলা হলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী ড. কুর্ট স্ট্রাইফ বলছেন, ধূমপান করলে বা এ্যালকোহল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি যত বেশি, মাংস খেলে ঝুঁকি ততো বেশি হয় না। সারা পৃথিবীর মাংস ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এই রিপোর্টে যে আদৌ খুশি হবেন না তার স্পষ্ট। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যারা মাংস খাচ্ছেন তাদের জানা উচিত যে মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে ঠিকই- কিন্তু ঝুঁকিও আছে। সুতরাং ‘মাংস কম খান’- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা এটাই। সূত্র : বিবিসি
×