ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২০ নভেম্বর ২০১৫

বাউফলে চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৯ নবেম্বর ॥ বাউফল থেকে জানান, চুরির অভিযোগে আনোয়ার আকন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রী ও সন্তানের সামনে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতেরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ওই গ্রামের আলম আকনের ছেলে আনোয়ার আকন বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে প্রতিবেশী খোকন মৃধার বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরে। বাড়ির লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। এরপর তাকে হাত-পা বেঁধে সারারাত ঘরের বাইরে ফেলে রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে আনোয়ারের স্ত্রী বিউটি বেগম ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে তানিয়া ঘটনাস্থলে যায়। তাদের চোখের সামনে আনোয়ার আকনকে দ্বিতীয় দফা পেটানো হয়। এ ঘটনার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর স্থানীয় চৌকিদার মোহন আনোয়ারকে উদ্ধার করে বাউফল থানায় নিয়ে আসে। প্রেম করায় যুবককে ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা নিজস্ব সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, দু’দিন ধরে দগদগে নির্যাতনের চিহ্ন ও যন্ত্রণা নিয়ে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে রফিকুল ইসলাম (১৮)। তার অপরাধ প্রেম করেছিল। জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুগুরী গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল রফিকুল ইসলাম (১৮)। রফিকুলের বাড়ি একই উপজেলার গোতামারী গ্রামে। বাবা উকিল মাহমুদ একজন কৃষক। প্রেমিকার ভাই চয়ন বোনের এ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। প্রেমিকা অসুস্থ বলে চয়ন স্ত্রীকে দিয়ে রফিকুলকে মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। পরে বোনের সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে যুবকটিকে বেঁধে রাখে। রাতভর তাকে পিটিয়ে নির্যাতন করে। নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। জ্ঞান ফেরাতে ইস্ত্রি গরম করে ছ্যাঁকা দেয়া হয় পিঠে। এ খবর রফিকুলের পরিবারে পৌঁছলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে গোতামারী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল যুবকটিকে উদ্ধার করে বুধবার ভোরে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করায়। মুদি দোকানীকে গাছে বেঁধে স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, পরকীয়া প্রেমের অপবাদ দিয়ে আমিনুর রহমান (৩৫) নামের এক ক্ষুদ্র মুদি দোকানদারকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামে। পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমিনুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার হোতারা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে দিনমজুর আমিনুর রহমান বাড়ি থেকে তার কিশোরীগঞ্জ মেডিকেল মোড়ের দোকানে যাচ্ছিল। পথে একই গ্রামের জোবান আলী সরকারের ছেলে এমদাদুল হকসহ তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আটক করে। এরপর এমদাদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এমনকি একটি কাঁঠাল গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।
×