ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টি বাগড়ায় ড্র হলো ব্যাঙ্গালুরু টেস্ট

হতাশ- তবু আত্মবিশ্বাসী কোহলি

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

হতাশ- তবু আত্মবিশ্বাসী কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হতাশ তার হওয়ারই কথা। ম্যাচটা কী দারুণভাবেই না শুরু করেছিল ভারত। মাত্র তিন সেশনে প্রতিপক্ষকে ২১৪ রানে অলআউট করার পর প্রথম দিনের বাকি সময়ে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৮০ রান জমাও করে ফেলে স্বাগতিকরা। তারপর থেকেই বৃষ্টি। ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের শেষ চার দিন খেলল বৃষ্টি। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ... অতঃপর পঞ্চম দিনও পরিত্যক্ত হওয়ায় ড্র-ই হলো ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের শেষ পরিণতি। মাত্র আড়াই দিনে প্রথম টেস্ট জিতে ফুরফুরে মেজাজে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু করেছিল ভারতীয়রা। সেটিই কিনা এভাবে জলের তোড়ে ভেসে গেল। দারুণ অবস্থায় থেকে দিনের পর দিন ড্রেসিং রুমে আর হোটেল-লবিতে বসে বৃষ্টি দেখাটা ভারত অধিনায়কের জন্য হতাশার। সেটি গোপন করেননি ‘ক্রেজী’ কোহলি। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘এটা সত্যি হতাশার। দুর্দান্ত শুরুর পর বাকি চারটি দিন বসে বসে বৃষ্টি দেখতে হলো। মোহালির মতো এখানেও বোলাররা আমাদের দরুণ সূচনা এনে দিয়েছিল। মাত্র তিন সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে দুই শ’র আশপাশে অলআউট করে দেয়া কম কৃতিত্বের নয়। অথচ ব্যাঙ্গালুুরুর ঐতিহ্য ভেঙ্গে আমি যখন ফিল্ডিং বেছে নেই, অনেকেই তখন অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার বোলারদের ওপর আস্থা ছিল। জানতাম ওরা কী করতে পারে। যেটা প্রথম ম্যাচেও করে দেখিয়েছিল। দুই ঘূর্ণিবোলার আশ্বিন-জাদেজা দুজনই দূরন্ত বল করেছে। ব্যাঙ্গালুরুর পিচ বলে এখানে রান আছে, অথচ আমার বোলাররা দেখিয়েছে পরিস্থিতি জয় করার ক্ষমতাটাও তাদের ভালই রয়েছে।’ এটা সত্যি কোহলি টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ায় অনেকেই অবাক হন। ১৯৭৪ সাল থেকে গত ৪১ বছরে ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসজয়ী প্রতিটি দলই আগে ব্যাটিং করেছে। সাহসী কাজের ফল পেতে দেরি হয়নি কোহলির। প্রথম ইনিংসে দুর্ধর্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৯ ওভারে ২১৪ রানেই অলআউট করে দেয় স্বাগতিকরা। রবিচন্দ্রন আশ্বিন আর রবিন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণি বিষে নীল প্রোটিয়া শিবির। দুজনেই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। ভাগ্যিস নিজের শততম টেস্টে ৮৫ রানের সংগ্রামী ইনিংসটি খেলেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। নইলে অতিথিদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। জবাবে প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটে ৮০ রান তুলে ড্রাইভিং সিটে বসার ইঙ্গিত দেয় ভারত। শিখর ধাওয়ান ৪৫ এবং মুরলি বিজয় ব্যাট করছিলেন ব্যক্তিগত ২৮ রান নিয়ে। এরপর টানা চার দিনের বৃষ্টি সব জলে ভাসিয়ে দিল। অধিনায়ক কোহলি আরও যোগ করেন, ‘মোহালি থেকে ব্যাঙ্গালুরু- মাঠে প্রতিটি দিন ছিল আমাদের দখলে। দুটি ম্যাচ থেকেই ছেলেরা বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, যা তৃতীয় টেস্টে কাজে লাগবে।’ নাগপুরে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট বুধবার থেকে। একটা টেস্টের চারটা দিন বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে- এটা দেখে হাসিম আমলাও বিস্মিত। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক যেমন বলেন, ‘আমি বিস্মিত যে পাঁচ দিনের ম্যাচের চারটা দিনই বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল! যদিও প্রথম দিন আমরা মোটেই ভাল ব্যাটিং করিনি। তার অর্থ এই নয়, ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি চার টেস্টের সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে থাকার মানেও হেরে যাওয়া নয়। এখনও আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
×