ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ক্রয় ও সাজসজ্জায় উচ্চ ব্যয় পরিহারের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ক্রয় ও সাজসজ্জায় উচ্চ ব্যয় পরিহারের নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থে পর্ষদ চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তার জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় নিরুৎসাহিত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে উচ্চ ব্যয়ের লাগাম টানতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখার চাকচিক্যপূর্ণ সাজসজ্জায় ব্যয় কমিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি কোন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নানাবিধ উচ্চ ব্যয় নির্বাহের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থে পর্ষদ চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তার জন্য বিলাসবহুল মোটরগাড়ি ক্রয় এবং ব্যাংক শাখার চাকচিক্যপূর্ণ সাজসজ্জায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে-এতে প্রতিষ্ঠানের মুনাফার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যার ফলে শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই প্রবণতা নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যে মোটরকার কেনা যাবে না। অবশ্য জিপ কিনলে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সাজসজ্জার বিষয়ে বলা হয়েছে, এখন থেকে নতুন শাখা স্থাপনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার বর্গফুটের অধিক ফ্লোর স্পেস ব্যবহার করা যাবে না। আইটি সরঞ্জাম ছাড়া (ভল্ট স্থাপন, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, অফিস ফার্নিচার, ইলেকট্রিক-ইলেকট্রনিক ইত্যাদি) নতুন শাখা স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকার অধিক ব্যয় করা যাবে না এবং বিদ্যমান শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য এক হাজার টাকার অধিক ব্যয় করা যাবে না। আইটি সরঞ্জাম বাবদ ব্যয়ও যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে রাখতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাংকিং সেবা বাড়ানো উচিত ॥ অর্থমন্ত্রী অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাংকিং সেবা আরও বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দেশের ৪০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরের একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে। এ সেবা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সচিবালয়ে বুধবার নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রানী ক্ষুদ্র ঋণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেচার পেতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আসলেই এটা দরকার। এটার জন্য আমাদের এফোর্ড দিতে হবে। ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে ব্যাংক সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আমাকে জানিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অধিকাংশ ব্যাণিজ্যিক ব্যাংক ডিজিটাল। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এখনও ডিজিটাল হয়নি। এটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি এবং এটা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দিয়েছি। এই টেকনোলজি ব্যবহারে আমাদের প্রচুর পেমেন্ট ও কালেকশন হচ্ছে। তাই বলা যায় ডিজিটালাইজেশনে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।
×