ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেধাশূন্য করার মিশন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

মেধাশূন্য করার মিশন

সঞ্চিতা পোদ্দার ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ এই ধর্মের কথা বলে মুক্তচিন্তার লেখকদের ‘নাস্তিক’ নাম দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গণজাগরণ মঞ্চ যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিলÑ ঠিক তার পরে তাদেরই এক কর্মী ও ব্লগার রাজীব হায়দারকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অভিজিত রায়, অনন্ত বিজয় দাশ, নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় (নিলয় নীল) এবং সর্বশেষ জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে একইভাবে হত্যা করা হয়। একটি স্বাধীন দেশে একেবারে দিনের আলোয় হত্যা করে হত্যাকারীরা বীরদর্পে চলে গেল অথচ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কিছুই বুঝতে পারল না- এওকি সম্ভব? বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার। সোনার বাংলা গড়তে গেলে চাই সোনার মানুষ। কিন্তু কোথায় সেই সোনার মানুষ? যে স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল, সেই স্বপ্নই আজ হুমকির মুখে। যারা এই হত্যা মিশন চালাচ্ছে তারা সবাই বয়সে তরুণ। যে বয়সে তাদের হাতে থাকবে বই, খাতা, কলম অথচ আজ তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে চাপাতি, আগ্নেয়াস্ত্র। যারা এই হত্যার ইন্ধনদাতা তারা তো কারও বাবা, সন্তান, ভাই- তবে আর কত বাবা-মায়ের বুক খালি হলে ওদের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হবে- প্রশ্ন রয়ে গেল, যারা পর্দার আড়াল থেকে এই হত্যাযজ্ঞের মিশন পরিচালনা করছে তাদের কাছে? এই হত্যাযজ্ঞের মূল কারণ দেশকে ‘মেধাশূন্য’ করা। কারণ দেশকে মেধাশূন্য করতে পারলেই ওদের মিশন সার্থক হবে। এখনই সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একাত্তরের মতো আরও একবার জেগে উঠতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। মেহেরপুর সদর থেকে
×