স্টাফ রিপোর্টার ॥ জমি দখলকে কেন্দ্র করে আটক উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১৬ কর্মী পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ভাংচুর করা টিনশেড ঘর ও সীমানা প্রাচীর পুনর্র্নির্মাণ করে দেবে। কখনও ওই জমি দখল করতে যাবে না। এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে আটককৃতরা এই মুচলেকা দিয়ে তাদের অধ্যক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন। ওসি জানান, আটককৃতরা সবাই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত। অধ্যক্ষের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওসি মশিউর জানান, এই জমির বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে তাদের হাতে।
পুলিশ জানায়, সোমবার কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে উচ্ছেদ চালায় আটককৃত ব্যক্তিরা। সেখানে তারা স্কুলটির একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডও টাঙিয়ে দেয়। সাইনবোর্ডটিতে লেখা ছিল, ‘ক্রয়সূত্রে এ জমিটির মালিক উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজ। এদিকে ২৬ কাঠার এই জায়গাটিতে এনটিভির টাওয়ার তৈরির কাজ চলছিল বলে জানান এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রোজ প্রপার্টিজের প্রজেক্ট প্রকৌশলী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন শাওন।
প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন শাওন জানান, সোমবার কোন নোটিস ছাড়াই বহিরাগত কিছু লোক এসে জোরপূর্বক জায়গাটি দখলে নেয়। জায়গাটির মালিক মোসাদ্দেক আলী ফালুর। সোমবার সকালে মোসাদ্দেক আলী ফালু সাংবাদিকদের জানান, এখানে ছয় মাস ধরে নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের ফাউন্ডেশনের কাজ হয়েছে। পিলারও তৈরি হয়েছে। কাজ তো আর গোপনে হয়নি। এতদিন কেউ কিছু বলেনি। অথচ হঠাৎ করে সোমবার সকালে কাউকে না জানিয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের কিছু লোকজন এসে জায়গা দখল করে।