ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে ॥ আইনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ আগুন সন্ত্রাস করে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের বিচারে সরকার বন্ধপরিকার। কেননা প্রতিটি অপরাধের বিচার নির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে সক্রিয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে একটি। তিনি বলেন, বর্তমানে আইসিটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে ৩টি, চার্জ শুনানি পর্যায়ে ৩টি এবং তদন্ত পর্যায়ে ১১টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রাইব্যুনালদ্বয়ে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বিবেচনা করে দুটি ট্রাইব্যুনালকে একত্রিত করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ঢাকা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দুইটি মামলার মোট সাক্ষী ৪৯২ জন। এ পর্যন্ত ১৯৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা দুটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানকে বিশেষ পিপি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং তার সহায়তাকারী হিসেবে ১২ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি জানান, এই মামলায় ঢাকা জেলা প্রশাসক কর্তৃক পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স কৌঁসুলী হিসেবে ১৫ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত মামলায় এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে বিশেষ পিপি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাইব্যুনাল অস্ত্র চোরাচালান মামলার রায়ে মোট ৫২ আসামির মধ্যে ১৪ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদ- এবং বাকি ৩৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে অস্ত্র আইনে অপর মামলায় ৫৪ আসামির মধ্যে ১৪ আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৩৬ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ১৪ আসামিকে মৃত্যুদ-াদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগে ডেথ রেফারেন্স আনিত ও আসামিগণ কর্তৃক ১৪টি ফৌজদারি আপীল দায়ের ও যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হাইকোর্ট বিভাগে ১৪টি ফৌজদারি আপীল দায়ের পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষ্পত্তির সুনির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয়।
×