ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ৮০ পুকুর বেদখল ॥ পানি সঙ্কট চরমে

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

কলাপাড়ায় ৮০ পুকুর বেদখল ॥ পানি সঙ্কট চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৭ নবেম্বর ॥ রাখাইন পল্লী কালাচানপাড়ার খাস পুকুরটির চারদিক ঘিরে একের পর এক স্থাপনাসহ বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এক সময় এ পুকুরটিতে ছিল স্বচ্ছ টলমলে পানি। পুকুরে নেমে গোসল তো দূরের কথা পা ধোয়া পর্যন্ত ছিল নিষিদ্ধ। এ পুকুরটি এখন দখল হয়ে গেছে। একই দশা চরধুলাসার গ্রামের খাস পুকুরটির। পুকুরটিতে প্রভাবশালী একটি মহল মাছ চাষ করছে। মহিপুর বন্দরের পুকুরটির চারপাশ বহু আগেই দখল হয়ে গেছে। মেলাপাড়ার পুকুরটি আশপাশের মানুষ দখল করে নিয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার এলজিইডির খাস পুকুরটির দক্ষিণ পাশ দিয়ে অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। হাঁড়িপাড়ার খাস পুকুরটির পাড় দখল করে তোলা হয়েছে স্থাপনা। এভাবে কলাপাড়ার অন্তত ৮০টি খাস পুকুর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেদখল হয়ে গেছে। পুকুরগুলো বেদখলের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের গোসলসহ নিত্যদিনের কাজে নিরাপদ পানির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আটটি পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন করে ব্যবহার উপযোগী করে রেখেছে। প্রবীণ রাখাইনদের দেয়া তথ্যমতে, প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এ খাস পুকুরগুলো। আরাকান থেকে পালিয়ে আসা রাখাইনরা বনজঙ্গল সাফ করে বসতি গড়ে তোলে। তখন নিরাপদ পানির ব্যবহারের জন্য কুয়ার পাশাপাশি প্রত্যেকটি রাখাইন পল্লীতে একটি করে খাস পুকুর খনন করা হয়। রাখাইনরা এসব পুকুরের নিয়ন্ত্রণ করত। রাখাইন পল্লী ছাড়াও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় খনন করা হয় খাস পুকুর। বর্তমানে এসব খাস পুকুরগুলো সংস্কারের অভাবে ভরাটের পাশাপাশি বেদখল হয়ে গেছে। কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র এসএম রাকিবুল আহসান জানান, কলাপাড়া পৌরসভার ২৪টি খাস পুকুরের মধ্যে আটটি পুকুর সংস্কার করে ঘাটলাসহ পৌরবাসীর ব্যবহারের উপযোগী করে তুলেছেন। পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক খান মোশাররফ হোসেন জানান, কালাচানপাড়ার খাস পুকুরটিকে দখলমুক্ত করা হবে। সকল পুকুর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যশোরে ১০ আসামির আত্মসমর্পণ স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সদর উপজেলার খড়িচাডাঙ্গা গ্রামের রাস্তা ও খাল পাড়ে বনবিভাগের রোপণকৃত চারা গাছ নষ্ট করার মামলায় মঙ্গলবার ১০ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আসামিরা হলো, খড়িচাডাঙ্গা গ্রামের শিবুপদ পালের ছেলে উত্তম পাল, কালিকান্ত পালের ছেলে সুভাস, মনোরঞ্জন পাল, শরৎ চন্দ্র পালের ছেলে সুবল চন্দ্র পাল, মনমত বিশ্বাসেরর ছেলে বেতকুণ্ঠ বিশ্বাস, দুলাল বিশ্বাসের ছেলে শ্যামল বিশ্বাস, শরৎ চন্দ্রের ছেলে অমল কান্ত বিশ্বাস, বিজয় কান্তর ছেলে ঋষি কান্ত, পতিত পবনের ছেলে চন্দন কুমার ও অনুপম বিশ্বাসের ছেলে অনুপ বিশ্বাস। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আবু ইব্রাহিম আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বরিশাল আ’লীগের পাল্টাপাল্টি শো-ডাউন পৌর নির্বাচন স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ তফসিল ঘোষণার আগেই আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে পাল্টাপাল্টি শো-ডাউনকে কেন্দ্র করে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় দলের তৃণমূল পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিশাল শো-ডাউন বের করেন দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী পৌর আ’লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শী আ’লীগ নেতা ফিরোজ মিয়া জানান, শো-ডাউনটি উপজেলা পরিষদ চত্বরের গেট এলাকা অতিক্রমকালে একই দলের অপর মেয়র প্রার্থী (বর্তমান মেয়র) হারিছুর রহমান ও তার সমর্থকেরা ৮/১০টি মটরসাইকেলের বহর নিয়ে সেøাগান দিয়ে তাদের শো-ডাউনের মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
×