ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়া ফিরে আন্দোলনের ডাক দিলেই সরকারের পতন হবে ॥ মেজর হাফিজ

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

খালেদা জিয়া ফিরে আন্দোলনের ডাক  দিলেই সরকারের পতন হবে ॥  মেজর হাফিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আন্দোলনের ডাক দিলেই এ সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আইন ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। অথচ বিএনপিকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। দলের চেয়ারপার্সনকে নিয়েও ইতোমধ্যে মন্ত্রীরা বলে দিয়েছেন তার কী শাস্তি হবে। এ দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। বিএনপির ভদ্রতাকে আপনারা দুর্বলতা ভাববেন না। বিএনপি জনসমর্থনপুষ্ট অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দল। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ বলেন, বিএনপি এখন দল গোছাতে ব্যস্ত। নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় আছেন। খালেদা জিয়া দেশে ফিরে এসে আন্দোলনের ডাক দেবেন। তিনি আন্দোলনের ডাক দিলে অল্প দিনের মধ্যেই এ সরকারের পতন হবে। দেশে এখনও আশি শতাংশ মানুষের জনসমর্থন বিএনপির প্রতি রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ বিপুল জনসমর্থনকে যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, জনগণের ক্ষমতায়, জনগণের সেবায় রূপান্তরিত করা না যায়, তাহলে সত্যি সত্যি সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন বা ইরাকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সরকার যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করার সুযোগ না দেয়, তাহলে এই দেশ অচিরেই জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হবে উল্লেখ করেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা চায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বিনা চিকিৎসায় কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করুক। এটাই সরকারের প্রত্যাশা। বিএনপি নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, অনেক বিএনপি নেতাকর্মীর সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে দেয়া হচ্ছে না। তারা যেন জেলে দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় মারা যান সরকার সে ব্যবস্থা করছে। তিনি বলেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। এ সরকার গুম-খুনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। দেশে কোন রাজনীতি নেই বরং দুর্নীতি আছে। বিদেশীরা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থাও খুব খারাপ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকলে এ সবের উন্নয়ন ঘটানো যাবে না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি খন্দকার মাহবুবের ॥ দেশব্যাপী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রীমকোর্টে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, কোন ধরনের মামলা এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ ধরনের গণগ্রেফতারের ভয়ে সাধারণ মানুষও ঘরছাড়া হচ্ছে। এই ঘরছাড়া মানুষ দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সোমবার দুপুর সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবিলম্বে গণগ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মামলা ছাড়া গণগ্রেফতার দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। এই গ্রেফতারের আড়ালে বাণিজ্য চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিচারিক আদালতের রায় ছাড়াই কোন ব্যক্তিকে জঙ্গী হিসেবে টিভি ক্যামেরার সামনে হাজির করা হচ্ছে। এটা মৌলিক ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। বিএনপির সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে নির্মূল করতে হলে আইনী প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি। জিয়াউর রহমানের সমাধি সরানো চক্রান্ত রুখে দেয়া হবে ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেছেন, তার দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সরানোর চক্রান্ত জনগণ রুখে দেবে। সরকার যেভাবে গণতন্ত্র নির্বাসনে দিয়েছে, একইভাবে সংসদ এলাকার জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোরও ষড়যন্ত্র করছে।
×