ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় দুই বছর বাড়ানোয় ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় দুই বছর বাড়ানোয় ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ার বাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণায় ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার। রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এ বিশেষ সুবিধা প্রদানের পর দিন দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবারে উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। আগের দিনের তুলনায় দিনটিতে দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোমবারের উল্লেখযোগ্য খবরের মধ্যে ছিল পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা আরও দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা। গত কিছুদিন ধরে এ খবরেও প্রত্যাশাতেই ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে আগামী জুন মাসেই এ সময়সীমা শেষ হয়ে যেত। ফলে বাজারে এক ধরনের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছিল। কিন্তু রবিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজারে স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেন। যদিও তিনি বলেছেন, আগামীতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে সেটি পাশ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এ খবরটি সোমবার সংবাদ মাধ্যমে আসার পর থেকেই শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে। ফলে দিনশেষে সব ধরনের সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ শতাংশ বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার, যা গতকালের তুলনায় ১৯৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ৮৭ শতাংশ বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার, যা গত আট মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পর সূচক বাড়তে থাকে। দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৮টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ার দর। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লি:, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাইফ পাওয়ারটেক, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন, স্কয়ার ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেলস, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি এবং বেক্সিমকো ফার্মা। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৮ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৪টির, কমেছে ৪০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, কেডিএস এক্সেসরিজ, ইফাদ অটোস, তিতাস গ্যাস, শাহজিবাজার পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
×