ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের হামলায় তিনটি দল আলাদাভাবে কাজ করছিল। এসব হামলায় ১২৯ ব্যক্তি নিহত ও ৩৫০ জনের বেশি আহত হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্যারিসের প্রধান কৌঁসুলি ফ্রাঁসোয়া মোলিঁস। খবর বিবিসির।
ফ্রাঁসোয়া মোলিঁস জানান, তারা কিভাবে এবং কোথা থেকে এসেছিল, তাদের কারা অর্থ দিয়েছিল, সেগুলো আমরা খুঁজে বের করব। হামলাকারী সাতজন মারা গেছে। তারা ভারি অস্ত্রশস্ত্রে ও বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে সজ্জিত ছিল। নিহত হামলাকারীদের মধ্যে একজনের পরিচয় পেয়েছে ফরাসী পুলিশ। তার নাম ওমর ইসমাইল মোস্তফা (২৯)। সে প্যারিসেরই একটি শহরতলীর বাসিন্দা, যার বিরুদ্ধে আগেও চরমপন্থার মতো অপরাধের অভিযোগ ছিল। তবে তাকে কখনও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গ্রেফতার করেনি। ওমর ইসমাইল মোস্তাফাইয়ের বাবা ও ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তদন্তকারীরা সে কখন, কিভাবে সিরিয়া গিয়েছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। আরেকজন হামলাকারীর কাছে সিরিয়ার পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
এদিকে, শনিবার ভোরে সীমান্ত অতিক্রমের সময় তিন ফরাসী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বেলজিয়াম পুলিশ। প্যারিস হামলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা যাচাই করছে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজন শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ছিলেন বলে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। প্যারিস হামলায় বেলজিয়ামের লাইসেন্স প্লেট রয়েছে, বাতাক্লাঁ কনসার্ট হলের কাছাকাছি এমন একটি ভক্সওয়াগন পোলো গাড়ি দেখা যাওয়ার পর অভিযান শুরু করে বেলজিয়াম পুলিশ। বেলজিয়ামে বসবাসকারী এক ফরাসী নাগরিক ওই গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু অন্য একটি গাড়িতে করে শনিবার ভোরে সীমান্ত অতিক্রমের সময় তাকে আটক করে বেলজিয়াম পুলিশ। হামলার পর শুক্রবারই ফ্রান্সে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার প্যারিসে কার্ফু জারি করা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সীমান্ত। হামলার পর ফ্রান্সে আড়াই হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: