ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাহবুব শরীফ

এই সময়ে শিশুর যত্নআত্তি

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

এই সময়ে শিশুর যত্নআত্তি

শীত আসছে বলে, আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। বড়রা হয়ত ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে পরিচিত, কিন্তু শিশুরা কিন্তু পরিচিত না, কারও বয়স বছরের মধ্যে কেউবা একটু বেশি। যাই হোক ছোট বড় সকলের ত্বকের যতœ নেয়া উচিত। বর্তমান সময়ে খুব বেশি ঠা-াও না আবার গরমও না। আবার কখনও কখনও গরম অনুভব করছি। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। প্রায় সকলেরই জ্বর অনুভব হয়। বৃষ্টির মাত্রা কমেই গেছে। এ কারণে রাস্তায় প্রচুর ধূলাবালি লক্ষ্য করা যায়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম, ধূলাবালি ও ঋতুর পরিবর্তনের কারণে শিশুদের জ্বর মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি দেখা দিলে শিশুর চিকিৎসার জন্য নিজে ওষুধ ক্রয় বা নিজের মত অনুযায়ী ব্যবহার না করে অবশ্যই শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের মতামত অনুযায়ী শিশুর পরিচর্যা করুন। শীত আসবে আসবে এমন সময়ই প্রচুর মাছি লক্ষ্য করা যায়। আপনাকে আগেই সতর্ক হতে হবে। শিশুরা যেন খোলা খাবার না খায়। আরও কিছু বিষয়ের জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ৪টি বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেগুলো হলো ঃ- ১. শিশুকে হাল্কা গরম পানি দিয়ে গোসল করান। ২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ান। ৩. শিশুর পেম্প্যার যথাসময়ে পরিবর্তন করুন। ৪. ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনার প্রস্তুত থাকা ভাল। সম্ভব হলে, বাসায় হিউমিডিফায়ার (আর্দ্রতা ধরে রাখার যন্ত্র) ব্যবহার করুন। বাজারে অনেক কোম্পানীর হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায়। এগুলোর কাজ হলো বাতাসের আর্দ্রতা ধরে রাখা। রুমে হিউমিডিফায়ার থাকলে রুমে বাতাসের আর্দ্রতা ঠিক থাকে বলে শিশুর ত্বকে শুষ্কতার প্রভাব পড়ে না। শীত আসছে তাই বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও ঠোঁটের যতœ নেয়া উচিত। শিশুটি ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিন। অনেক সময় খেয়াল করা যায় নবজাতকের ঠোঁট ফাটে। সে ক্ষেত্রে আঙ্গুলের মাথায় সামান্য ভ্যাসলিন নিয়ে ঠোঁটে মেখে দিন। বুকের দুধ খাওয়ার আগে তা আবার মুছে ফেলুন। শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বললে শিশুকে অনেক সুরক্ষায় রাখা সম্ভব। বর্তমান সময়ে রাস্তা-ঘাটে যথেষ্ট ধুলাবালি লক্ষ্য করা যায়। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুকে অবশ্যই ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন। কারণ ধুলাবালি থেকে হাঁচি, কাশি, সর্দি জ্বর হতে পারে। শিশুরা বলতে পারে না, এক্ষেত্রে শিশুদের তীব্র মাথাব্যথাও হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ছোট শিশুরা ঠিক মতো খায় না। ঠিক মতো ঘুমায় না, এতে করে মেজাজ খিটখিটে থাকে এবং সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করে। তখন বুঝতে হবে ওরা কোন সমস্যায় ভুগছে। এই সময়ে শিশুর অতিরিক্ত যতœ নেয়া উচিত। অনেক শিশুরা শ্বাস কষ্টে ভোগে। নাক, কান বন্ধ হয়ে থাকে বিধায় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে মুখের ভিতরটা অস্বস্থি অনুভব করে। আপনাকে এ সব বিষয়ে খুব গুরুত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে। যদি আপনি দেখেন যে, আপনার বাচ্চার প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, দেরি না করে অতিদ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই সময়ে রাতের বেলায় শিশুদের মাথায় তেল দেবেন না, কারণ তেল থেকে আপনার শিশুর ঠা-া লেগে যেতে পারে। মাথায় ঠা-া লাগলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভব হয়। তখন শিশুরা খুব বেশি বেশি কান্নাকাটি করে। শিশুদের মেজাজ খারাপ থাকে। কোন কিছুই সহ্য করতে চায় না। এই সময়ে না গরম, না ঠা-া, শিশুটি ঘুমালে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রয়োজনে পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে রাখবেন। বেশি মোটা কাপড় বা পোশাক পরাবেন না। কারণ গরমে ঘেমে আবার ঠা-া লেগে যেতে পারে। শিশুকে প্রতিবেলাতেই হাল্কা গরম খেতে দিন। ঠা-া খাবার পরিহার করুন। অতিরিক্ত গরম খাওয়াবেন না। যাদের নবজাতক আছে তারা নিয়মিত একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। যেন যখন তখন শিশুটির শারীরিক সম্পর্কে চিকিৎসকের নিকট থেকে তথ্য ও পরামর্শ নেয়া যায়। নিজের শরীরের যতœ নিন ও আপনার সন্তানের শরীরেরও যতœ নিন। ছবি : সাঈদ অয়ন মডেল : অহনা ও তাহসিন
×