ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদাকে ’১৯ সালের নির্বাচনে শেষ মার দিতে হবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

খালেদাকে ’১৯ সালের নির্বাচনে শেষ মার দিতে  হবে ॥ নাসিম

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৫ নবেম্বর ॥ রবিবার সন্ধ্যা ৫টা ২৭ মিনিটে লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জঙ্গীবাদী নেত্রী, বিদেশী হত্যার ষড়যন্ত্রকারী খালেদা জিয়াকে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে শেষ মারই দিতে হবে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করে। যাতে বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া দেশের মাটিতে কোনদিনও কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না পারেন। মন্ত্রী নাসিম আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে, দেশে সামরিক শাসন চলত। সামরিক শাসন জনগণের উন্নয়ন করতে পারে না। তখন জনগণের কথা বলার অধিকার থাকে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় থাইল্যান্ডেও নির্বাচন ছিল। সেখানে নির্বাচন হয়নি। থাইল্যান্ডের এখন সামরিক শাসন চলছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে বলে উন্নয়ন হচ্ছে। রূপকল্প ২১ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছে। জঙ্গী বিএনপি তার ওপর বার বার আঘাত করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা মৃত্যুঞ্জয়ী। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জনগণ ও নেতাকর্মীরা মানব ঢাল তৈরি করে তাঁকে বাঁচিয়েছেন। বিএনপির মুখে সর্বদলীয় আলোচনার কথা সম্পর্কে বলেন, দেশে তারা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণ তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দিয়েছে। খুনী, জঙ্গী, বোমাবাজ পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়েছে যারা তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়। ২০১৯ সালের একদিন আগেও নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ১৯ সালে নির্বাচন করতে হবে। খেলার মাঠ ছেড়ে দিয়ে খেলা হয় না। বঙ্গবন্ধু ৭০ সালে সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছে। কারণ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ৬ দফার সমর্থনে ভোট দিয়েছে। আপনারা জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকলে ১৯ সালে জনগণ ভোট দিবে। আলোচনা সম্পর্কে বলেন, দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দেখেছে বেগম জিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০ মন্ত্রী দিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোন করেছেন। তার বাসায় দেখা করতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া বাড়ির দরজা সম্মুখেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাদের মুখে আলোচনার কথা মানায় না। কোন আন্দোলন সংগ্রাম হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ হবে না। নির্বাচন করতে হলে সংগঠন গোছান। লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ শাহ আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মোঃ সাঈদ দুলাল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, এ্যাডভোকেট মোছাঃ সপুরা বেগম রুমী এমপি, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক। প্রধান বক্তা পংকজ দেবনাথ এমপি, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, মোঃ একেএম আজিম, মোঃ নাফি উল করিম নাফা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাইফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু প্রমুখ।
×