ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চরম হতাশ সালাউদ্দিন

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

চরম হতাশ সালাউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমি চরম হতাশ হয়েছি। এখনও মানতে পারছি না কিভাবে এমনটা হলো। অস্ট্রেলিয়া চার বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। তাদের মাটিতে গিয়ে পাঁচ গোলে হারাটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু তাজিকিস্তান তো মোটেও অস্ট্রেলিয়ার সমমানের দল নয়। তাহলে তাদের কাছেও কেন পাঁচ গোলে হারতে হবে?’ কথাগুলো কাজী মোঃ সালাহউদ্দিনের। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এই সভাপতি আক্ষেপ নিয়ে আরও জানান, ‘বাফুফেতে আমার আমলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ পর্যন্ত যে কটি হার দেখেছি, তাজিকিস্তানের কাছে এই হারটা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও জঘন্য!’ ‘আশা’ নামের বেলুনটা যে এভাবে বাজেভাবে চুপসে যাবে, সেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীরা। অথচ তাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুশানবের সেন্ট্রাল রিপাবলিক স্টেডিয়ামে। ফিফা বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের ম্যাচে স্বাগতিক তাজিকিস্তানের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলাই যেন খেলে তাজিকরা। তাদের রুখতে হিমশিম খায় মামুনুলরা। তাদের খেলা ছিল অগোছালো। বলই যেন পাচ্ছিল না পুরো ম্যাচে। ফিটনেস, গতি, স্কিল ... সবকিছুতেই পিছিয়ে ছিল প্রতিপক্ষের চেয়ে। সালাহউদ্দিনও তাই বললেন, ‘আমাদের দলটাকে কেন যেন মনে হয়েছে আনপ্রেডিক্টেবল দল। খেলার বেসিক খুবই দুর্বল। স্কুল বালকদের মতো সিলি মিসটেক করে। প্রচুর মিস পাস দেয়। প্রথম গোলটার কথাই ধরুন। ডিফেন্ডারদের ভুলের কারণেই ওরা অতি সহজেই গোলটা পেয়ে যায়। আসলে আমাদের ডিফেন্ডাররা আগেই দুর্বল ছিল। এখনও দুর্বল। ওদের খেলায় সেভাবে ভরসা করা মুশকিল। মোট কথা পুরো দলটাতেই মনে হয়েছে অপরিণত।’ কোচ ফ্যাবিও লোপেজ দায়িত্ব নিয়েই খেলোয়াড়দের বিভিন্ন পজিশনে খেলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি নতুন কোচকে মোটেও দোষ দেব না। তার যেটা ভাল মনে হয়েছে, সেটাই করেছেন। এর আগে তিনি কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলোয়াড়দের তাদের চেনা পজিশনের বাইরে খেলিয়েছেন। আমরা দেখেছি তখন খেলোয়াড়রাও বেশ ভাল খেলেছে, মানিয়ে নিয়েছে ভিন্ন পজিশনে। কিন্তু তারাই আবার ব্যর্থ হলো তাজিকদের বিরুদ্ধে। তাহলে এখানে কোচ বা ম্যানেজমেন্ট দায়ী হবে কেন? আমি আসলে বলবো এখানে খেলোয়াড়দের দায়ই বেশি।’ খেলার সাত দিন আগে তাজিকিস্তান পৌঁছে মামুনুলরা। সেখানে ঠা-া বা বৃষ্টি ছিল, টার্ফে খেলার অভ্যাস নেই ... এগুলো যদি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা মোটেও মেনে নেবেন না সালাহউদ্দিন।
×