অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ছে। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এই সময়ে ঠিক কত বছর বাড়ছে সেটি এখনই চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকার কারণে অর্থমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বৃহস্পতিবার গবর্নর দেশে ফিরলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ড. আতিউর রহমান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, একটি বিশেষ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বৃদ্ধি করা হবে। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে আইন আকারে এটি পাস করিয়ে নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত সোমবার ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
টানা দরপতন আর ব্রোকার হাউসগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন গত সোমবার সকালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি মন্ত্রীকে জানান, ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের বাড়তি চাপে বাজারে এমন দরপতন হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া হলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তখন মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওই প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এর পরেই মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ছায়েদুর রহমান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তখন আবুল মাল আবদুল মুহিত পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তাদের। তখন তিনি তাদের বুধবার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিভিত্তিক ৩০টি ব্রোকার হাউস বিএসইসির কাছে চিঠি দিয়ে পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়িয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান। বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিনিয়োগ হিসাবে লেনদেনের সুযোগ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। একই ভাবে লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিলের মেয়াদও ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তারা। এছাড়া বৈঠকে ব্রোকার হাউসের নতুন শাখা খোলার অনুমতি দেয়ার দাবি জানানো হয়। তিনটি বিষয়েই ইতিবাচক সাড়া দেয় বিএসইসি। উল্লেখ্য, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এর আগে বিএসইসি ঋণাত্মক ইক্যুইটির হিসাবে লেনদেন বন্ধ রাখা এবং লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার শর্ত শিথিল করলেও চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এর প্রেক্ষিতেই সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: