ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ন’টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে?

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০১৫

ন’টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে?

মশিউর রহমান রেলগাড়ি ভ্রমণ হলো মজাদার। চলমান গতিতে ছুটে চলে শাঁ শাঁ শব্দে। শহর ছেড়ে ছুটে চলে গন্তব্যে অন্য কোন শহর অভিমুখে। তখন যাত্রাপথে স্টেশন বিরতি ছাড়া বিরামহীন ছুটে চলাই মূল উদ্দেশ্য। চলার পথে উঁচু, নিচু, মাঠ, প্রান্তর, নদী-নালা, ব্রিজ, কালভার্ট সবকিছুকে পেছনে ফেলে ছুটে যায়। রেলগাড়ির ভ্রমণ অন্যরকম আনন্দ জাগায় মনেপ্রাণে। এ এক অভিনব নতুন কিছু। যারা প্রথম আরোহন করে তারা শুধু ভয়ে কাঁপে থরথর করে। সব যেন লোহার তৈরি। লোহা হলো এর মূল উপাদান। ছুটে চলা পথিমধ্যে সম্মুখে কোন বাধা প্রতিবন্ধকতা দেখলে চালক হর্ন বাজিয়ে সতর্ক করে দেন। হর্ন দেয়ার উদ্দেশ্যে হলো আমার জায়গা আমাকে দাও, চলার পথে বাধা সৃষ্টি কর না। রেলভ্রমণ একেবারে অন্যরকম। স্থলপথে যতগুলো যানবাহন আছে তার মধ্যে রেলগাড়ি হলো দ্রুততম। বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশের রেলগাড়ি অনুন্নতমানের। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সঠিক তদারকি করতে হবে। প্রত্যেকটি জিনিসের ভাল-মন্দ উভয় দিক আছে। রেলগাড়ির যে সব ভাল তা কিন্তু না। এরও নেতিবাচক কিছু আছে। একবার ওই রকম রেলে গ্রামে যাব। মনে অনেক আশা স্বপ্ন নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষারত। গাড়ি ছাড়ার সময় হলো রাত দশটা। বার বার মাইকে ঘোষণা হচ্ছে। দশটার দিকে জানানো হলো আধাঘণ্টা পর গাড়ি প্লাটফর্মে আসবে। কোন দেখা নেই। আমারও যেন অপেক্ষার সময় শেষ হয় না। এক নীরব বেদনা মনের মাঝে লালন করে চলেছি। অপেক্ষা করতে করতে দম যেন যায়। বার বার ঘোষণা আসছে ট্রেন আসতে দেরি হবে। অবশেষে ভোর চারটায় স্টেশনে গাড়ি পৌঁছল। আবার ঘোষণা আধঘণ্টা পরে লালমণি এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত সকাল ছটায় গাড়ি স্টেশন ত্যাগ করে। দশটার কথা বলে সকাল ছটা, এ এক প্রকার দায়িত্বে অবহেলা আর গাফলতি। কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সময়ের মূল্য অনেক। প্রত্যেক মানুষের জীবনে সময়ের গুরুত্ব আছে। এদিকে কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করলে অনেকদিক দিয়ে লাভবান হওয়া যায়। তাই কর্তৃপক্ষকে বলব, সময় সিডিউল ঠিক রেখে পরিচালনা করবেন। স্টেশনে অপেক্ষারত শত শত মানুষের সময় অপচয় করবেন না। প্রত্যেক মানুষের ১ মিনিট করে হিসাব করে দেখেন ১০০ মানুষের কত সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই সময়মতো ট্রেন পরিচালনার প্রতি গুরুত্ব দেবেন। মানুষের দুর্ভোগ কমান। অপেক্ষারত মানুষের কষ্টগুলো নিজেদের মনে করে দেখেন। অবশ্যই অসহ্য লাগবে। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে সময়মতো সিডিউল ট্রেন পরিচালনা করে যাত্রীদের কষ্ট কমান। যাত্রীদের সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেবেন এমনটাই আশা রাখি। কুড়িগ্রাম সদর থেকে
×