ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১১ নভেম্বর ২০১৫

তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে মাঠ পর্যায়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র ছাপানো, ভোটার তালিকার সিডি ও সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয় থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভেটিং হয়ে আসার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এর পরই নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণে বৈঠক করা হবে। তবে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্র গেজেট প্রকাশের বিধান থাকায় মাঠ পর্যায়ের এসব কাজ আগে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিশন সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধির সংশোধনী শীঘ্রই ভেটিং হয়ে আসবে। সেটি গেজেটে আকারে জারির পর ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আয়োজনে যত দ্রুত সম্ভব সংশোধিত বিধিমালা জারির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ২৪২টি পৌরসভার তালিকা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করেছে। এসব নির্বাচনী এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে এসব এলাকার ভোটারদের ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তলিকার সিডি প্রস্তুত করে করে ১৩ তারিখের মধ্যে পাঠানো হবে কমিশন থেকে। এসব ভোটার তালিকায় কোন ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ভোটার তালিকার চূড়ান্ত সিডি সংগ্রহের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিকশনের পক্ষ থেকে জেলা, উপজেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালকে কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ আগামী ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখের মধ্যে সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত পৌরসভাসমূহের ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতপূর্বক মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। ১৫ নবেম্বরের মধ্যে মাঠ কর্মকর্তারা এসব তালিকা পরীক্ষা করে কোন ত্রুটি পেলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সংশোধনের পর চূড়ান্ত সিডি সংগ্রহ করবেন। তবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যারা ভোটার তালিকাভুক্ত হতে নিবন্ধিত হয়েছেন তারা এবার পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। এদিকে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভাগুলোয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করতে মঙ্গলবার নির্বাচন থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ২৪৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এসব ভোটকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় ছোটখাটো মেরামত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভোট হয়ে আসলে ওইদিনই গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হবে। আর নির্বাচন আচরণ বিধিমালা জারির পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হবে। তবে নির্বাচন কশিমনের আগের আচরণ বিধিমালায় স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-সাংসদ, মেয়রদের প্রচারে অংশ নেয়ায় বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার সংসদ নির্বাচনের মতো করে আচরণবিধি করা হয়েছে। নতুন এ বিধিমালা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, চীফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সরকারী সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উল্লেখ করে এসব ব্যক্তিকে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি কর হয়েছে। তবে তারা এই কাজে তারা সরকারী সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু প্রাপ্যতা অনুযায়ী তারা নিরাপত্তা পাবেন। যদি এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসি। অনেকে বলছেন এ কাজে নির্বাচনের ইসি নিরপেক্ষতা হারাবে।
×