ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাল দলিলে জমি বিক্রির চেষ্টা ॥ তিন প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১০ নভেম্বর ২০১৫

জাল দলিলে জমি বিক্রির চেষ্টা ॥ তিন প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে জাল দলিলের মাধ্যমে অন্যের জমি বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন তিন প্রতারক। তারা হলেন- ওয়াজেদ আলী, মোহাম্মদ মইন ও হাফিজা নামের অশীতিপর এক বৃদ্ধা। সোমবার দুপুরে রাজউক ভবনে বিশেষ ফাঁদ পেতে তাদের আটক করা হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে তাদের তিনজনকেই আসামি করা হয়। রাজউক ও দুদক সূত্র জানিয়েছে এই প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে গুলশানের ২০ কাঠার একটি প্লট বিক্রির জন্য নানা রকম প্রতারণা ও ফন্দি আঁটে। শেষ মুহূর্তে তারা রাজউক ভবনে ছাড়পত্র নিতে এসে ধরা খায়। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেনÑ তারা পেশাদার প্রতারক। জাল দলিল আর ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ওয়াজেদ আলী ও মইন এর আগেও একাধিকবার ধরা খেয়েছেন। তাদের নামে ভাটারা থানায় একটি মামলাও রয়েছে। এবারও ধরা পড়ার নেপথ্যে রয়েছে গুলশান ২ নম্বর এলাকায় বিশ কোটি টাকা মূল্যের বিশ কাঠা জমি আত্মসাতের চেষ্টা চালানো। রাজউক পরিচালক প্রশাসন দুলাল কৃঞ্চ সাহা জানান, গুলশানে ৫৫ নং রাডের বিশ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি মাত্র বারো লাখ টাকায় বায়না করায় সন্দেহ হয়। তখনই তারা তদন্তে নামে। ৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির তদন্তে ওঠে আসে জাল জালিয়াতির ভয়াবহ তথ্য। সেটা হচ্ছে ওই জমির মালিক প্রকৃত মালিক হাফিজা ১৯৮৬ সালে মারা যান। এরপর প্রতারক ওয়াজেদ ও মইন মোহাম্মদপুরের হাফিজা নামের আরেক বৃদ্ধাকে বাড়ির মালিক সাজিয়ে জমিটি বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এ সময় গণি নামের একজনের কাছে বার লাখ টাকায় বায়নাও করা হয়। মতিঝিল থানার এসআই তাহের জানান, প্রকৃত পক্ষে ওই জমির মালিক হাফিজা নামের এক মহিলার। আসল হাফিজার মৃত্যুর ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েই আটক প্রতারকদ্বয় সুকৌশলে মোহাম্মদপুরের বর্তমান হাফিজার কাছে গিয়ে বলেন আপনার নামে গুলশানে একটি দামি প্লট বরাদ্দ করা আছে। আপনি রাজউক গেলেই সেটা আপনার নামে দলিল করা হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে নব্বই উর্ধ এই হাফিজা তাতে রাজি হয়।
×