স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্কুলছাত্র ফরহাদ হত্যা মামলার রায়ে ৬ আসামির প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর এবং অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দ্বিতীয় দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর সোমবার মামলার রায় ঘোষণার সময় এই আদেশ দেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০১০ সালের ৪ মে একই গ্রামের কমলা ও তার পুত্র সাহেব আলী লিচু দেয়ার কথা বলে ফরহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে ৭ মে বাড়ি সংলগ্ন ফিশারিতে ফরহাদের হাত পা ও জিহ্বা কাটা ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ফরহাদের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাসহ ১২/১৩ জনের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হচ্ছে-খেরুয়াজানি গ্রামের সাহেব আলী (৩০), আব্দুল কদ্দুস (৫০), ইব্রাহীম (৫০), আব্দুল মজিদ (৪৫), মুন্তাজ আলী (৬০) ও জুয়েল (২০)। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি হচ্ছে কমলা (৫০)। আসামিদের মধ্যে সাহেব আলী পলাতক রয়েছে। অপর সাত আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী ও ফরহাদের বাবা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এএইচ খালেকুজ্জামান জানান, আসামিদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।
আদালত সূত্র আরও জানায়, মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র ফরহাদ স্থানীয় খেরুয়াজানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। একই গ্রামের কমলার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল আইয়ুব আলীর। গত ২০১০ সালের ৪ মে লিচু দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ফরহাদকে ডেকে নেয় কমলা ও তার পুত্র সাহেব আলী। এর ৩ দিন পর ৭ মে বাড়ি সংলগ্ন একটি ফিশারিতে হাত পা ও জিহ্বা কাটা অবস্থায় ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এপিপি এ্যাডভোকেট সুবোধ চন্দ্র সরকার এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট এএইচ খালেকুজ্জামান।