ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে স্ত্রীর সামনে বাহাই নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, আটক দুই

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৯ নভেম্বর ২০১৫

রংপুরে স্ত্রীর সামনে বাহাই নেতাকে গুলি করে  হত্যার চেষ্টা, আটক দুই

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী এবং বাহাই সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা রুহুল আমিনকে তার স্ত্রীর সামনেই গুলি করে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সকাল সাড়ে ৮টায় আর কে রোড ইসলামবাগ এলাকার বাসার সামনেই এ ঘটনা ঘটে । বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচারের পর তিনি শঙ্কামুক্ত হন। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারীসহ সন্দেহজনক দু’জনকে আটক করেছে। হাসপাতালের কর্তৃত্ব এবং আধিপত্য নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এদিকে বিডিনিউজ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ রুহুল আমিন বাহাই সম্প্রদায়ভুক্ত। রুহুল আমিনের স্ত্রী সামসুন্নাহার রেবা জানান, রুহুল আমিন প্রতিদিন তার রিজার্ভ করা রিক্সায় বাসা থেকে অফিস যান। রবিবার সকালে ওই রিক্সাচালক না আসায় সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি অন্য রিক্সায় যাবার উদ্দেশে বের হন। বাসার সামন থেকে একটু এগুতেই মাথায় মাফলার পেঁচানো দুই যুবক খুব কাছ থেকে পিস্তল দিয়ে তাকে তিনটি গুলি করে। এর একটি বিদ্ধ হয় বাঁদিকের বুকে। এ সময় স্ত্রী রেবা ওই যুবকদের ধাওয়া দিলে তারা আগে থেকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দ্রুত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি গুলি অপসারণ করা হলে তিনি আশঙ্কামুক্ত হন বলে জানান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ পরিতোষ চন্দ্র দাসগুপ্ত।। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী রফিকুল ইসলাম নয়ন এবং হাসপাতালের কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্রাহাম লিঙ্কনের ছোট ভাই আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতালের কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন, টেন্ডার, নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে আটক নয়নের সঙ্গে বিরোধ ছিল রুহুল আমিনের। এ ছাড়া শনিবার রাতেও নয়ন রুহুল আমিনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিকে রুহুল আমিনের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাতে এজাহার নামীয় কাউকে আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী।
×