ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার শিশুর মশক নিধন যন্ত্র

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৮ নভেম্বর ২০১৫

চার শিশুর মশক নিধন যন্ত্র

ডেঙ্গুতে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর কি করে মশা তাড়ানো যায় তা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করে ১১ বছরের মেয়েটি। সে দেখেছে, মাশা তাড়াতে গিয়ে সাধারণত যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয় তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপরেই। এতে বিদ্যুতেরও খরচ হচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটির ভাবনায় ছিল ইকো ফ্রেন্ডলি ওষুধের কথা। অন্য আরও তিনজন সমবয়স্ক ও সমমনস্ক বন্ধুর সঙ্গে মিলে একদিন সে তা বানিয়েও ফেলল। চার ক্ষুদের এই আবিষ্কার তাক লাগিয়ে দিয়েছে অন্যদের। ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সম্প্রতি এমন একটি মশা নিধন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে স্কুলপড়ুয়া চার শিক্ষার্থী। রাধা আমটে হারিয়েছিল তার বন্ধুকে। তার ভাবনায় শরিক হয়েছিল তার আরও তিন বন্ধু- শ্রুতি পিমপ্লাপুরে, শ্রুতি কারান্দিকর, তনিস্কা কোয়াদকর। ওরা অবশ্য শহরের আলাদা আলাদা স্কুলে পড়ে। কিন্তু একটি ওয়ার্কশপে সকলে একজোট হয়েছিল। রাধার ভাবনা বাকি তিনজনকেও ভাবিয়ে তোলে। সেটিকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দেয়া যায় তাই পরীক্ষা করতে থাকে তারা। একটি পাত্রে রেখেছিল নিম, ইউক্যালিপটাস, কিট্রোনেলার তেল। তা গরম করার জন্য যোগ করা হয়েছিল সোলার প্যানেল। অর্থাৎ সূর্যের তাপ থেকে বিদ্যুত তৈরি করে সেই বিদ্যুত তেল গরম করবে। যে ধোঁয়া তৈরি হবে তা চারদিকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ছিল একজস্ট ফ্যান। পুরো ব্যবস্থাটা বাড়ির যে কোন জায়গায় রাখলেই সারা ঘর মশা থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না। বাচ্চাদের এই ভাবনায় চমকে যান ওয়ার্কশপের উদ্যোক্তারা। তারা সাহায্য করেন পুরো সিস্টেমটি তৈরি করতে। ব্যাস তৈরি হয়ে যায় মশা তাড়ানোর ইকো ফ্রেন্ডলি যন্ত্র। এর ব্যবহার খুব সহজ। চার ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মধ্যে বয়সে বড় শ্রুতি কারান্দিকর। সে জানিয়েছে, ‘কয়েলের ধোঁয়া গর্ভবতী ও হাঁপানি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমাদের এই চেষ্টা।’ সূত্র : ওয়েবসাইট
×