ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ নভেম্বর ২০১৫

কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ এক মাসের জন্য কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএ)। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কাঁচাপাট রফতানিকারক ও পাট ব্যবসায়ীরা। কাঁচাপাট ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, পাট রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর রফতানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রেস হাউসগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাউসগুলোতে কর্মরত লক্ষাধিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে ব্যবসায়ীদের চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন। এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে পাটের বাজার বাঁচাতে অবিলম্বে রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে শেখ আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, রফতানিকারক ও পাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা না করেই সরকার গত ৩ নবেম্বর থেকে টানা এক মাস পাট রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিস্মিত হয়েছেন। রফতানিকারকরা আর্থিক ক্ষেত্রে মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, এর আগে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর একবার পাট রফতানি বন্ধ করা হয়। তখন চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো পাট সরবরাহ করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা বহু ক্রেতা হারায়। এমনকি পাট না পেয়ে চায়না, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল ও আইভরিকোস্টসহ বিভিন্ন দেশের অনেক জুটমিল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তারা অন্য ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাটের চাহিদা অনেকাংশেই কমে গেছে। যে কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য ব্যবসায়ী লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়েছেন। আর বাকিরা দেনাগ্রস্ত হয়ে কোনভাবে টিকে আছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং রফতানির উদ্দেশে প্রাপ্ত বৈদেশিক এলসি, চুক্তি ও বিভিন্ন বন্দরে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার টন কাঁচাপাট রফতানির আদেশ প্রদানের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিজেএ নেতা শেখ সৈয়দ আলী, আব্দুস সোবাহান শরীফ, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, টিপু সুলতান, এসএম হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×