ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনাচার অপব্যবহার

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৫ নভেম্বর ২০১৫

অনাচার অপব্যবহার

সঞ্চিতা পোদ্দার ব্যস্ততার কারণে যে সব বন্ধু আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা খুঁজে পেয়েছি আমাদের সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের। যখন আমরা কোন কাজ করতে করতে ক্লান্ত বোধ করি, তখন কিছু সময়ের জন্য ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করে মনের ভাব আদান-প্রদান করি। যার ফলে কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। নতুন নতুন বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠছে এই ফেসবুকের মাধ্যমে। ঠিক তেমনিভাবে আমরা আমাদের আপন জনদের কাছ থেকে আবার দূরেও সরে যাচ্ছি। স্বামী পেশাগত কারণে ব্যস্ত থাকায় পরিবারে সময় কম দিচ্ছে, সেই সুযোগে এবং একাকীত্ব দূর করতে অনেক গৃহিণী এই ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করছে, যার ফলে কারও কারও সুখের সংসারে মনোমালিন্য দেখা দিচ্ছে। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও ঘটছে। তরুণ থেকে প্রবীণ সবাই এই মাধ্যমটির প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন এসবের প্রতি অতিমাত্রায় আসক্তির ফলে লেখাপড়ায় অমনযোগী হয়ে পড়ছে, বেশি রাত জাগছে এবং সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠছে। যার ফলে চোখের সমস্যা হচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপ বাড়ছে, এমনকি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তবে এসবের দিকে আমাদের অভিভাবকদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমার সন্তান রাত জেগে লেখাপড়া করছে না ফেসবুকে সময় ব্যয় করছে, বাবা-মাকেই সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নতুবা মাদক ইয়াবার আসক্তির চেয়েও বেশি অধঃপতনে যাবে আমাদের এই তরুণ সমাজ। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেউ কেউ মেয়েদের নগ্নভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সেই মেয়েটি এবং মেয়েটির পরিবার সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। লজ্জা, ঘৃণায় কেউ কেউ আত্মহননের মতো পথ বেছে নিচ্ছে। আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না। এই অপকর্মটি যারা করছে লজ্জা তাদের পাওয়ার কথা। এদের ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। ভয়কে জয় করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সন্তান আমার, তাই আমাকেই আমার সন্তানের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাকে সাহস যোগাতে হবে এবং মনোবল বাড়িয়ে তুলতে হবে। মেহেরপুর সদর থেকে
×