ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রুশ সৈন্যের মৃত্যুর খবর নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৪ নভেম্বর ২০১৫

রুশ সৈন্যের মৃত্যুর খবর নিয়ে ধোঁয়াশা

সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া সক্রিয়ভাবে নেমে পড়েছে। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই মারা গেছেন রাশিয়ার এক সৈন্য। কিন্তু তার মৃত্যুর অফিসিয়াল ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা-মা। সিরিয়ায় প্রায় একমাস হলো রুশ সামরিক অভিযান চলছে। অক্টোবরের শেষের দিকে জানা গেল ভাদিম কস্তেনকো নামে এক রুশ সৈন্য নিহত হয়েছেন। চলমান রুশ অভিযানে এটিই সে দেশের প্রথম কোন সৈন্যে মারা যাওয়ার ঘটনা বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়। রুশ বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, ১৯ বছর বয়সী কস্তেনকো চুক্তিবদ্ধ কর্মী হিসেবে রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার বাড়ি কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ক্রাসান্দর অঞ্চলের গ্রেচানায়া বালাকা শহরে। সরকারী নিউজ পোর্টাল রাশিয়া টোয়েন্টিফোরে বলা হয়েছে, গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে অভিমান করে কস্তেনকো আত্মহত্যা করেছেন। গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে তার বিনিময় করা কয়েকটি টেক্সট মেসেজও সেখানে দেখানো হয়েছে। কিন্তু কস্তেনকোর বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা সরকারী এ ভাষ্যে আস্থা রাখতে পারছেন না বলে নোভোয়া গেজেটা নামে একটি রুশ সংবাদপত্র জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা কস্তেনকোর বাবা-মাকে ২৪ অক্টোবর জানান যে, সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে কস্তেনকো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর ঠিক একদিন আগেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে খবর বেরিয়েছিল, অসাবধানতাবশত অস্ত্র নিয়ে কাজ করার সময় সিরিয়ায় একজন রুশ সৈন্য মারা গেছেন। অজ্ঞাতনামা রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে খবরটি জানান হয়। কস্তেনকোর মা সয়েতলানা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘কস্তেনকো আত্মহত্যা করেছে- একথা আমি কখনোই বিশ্বাস করব না। প্রতিদিনই আমরা তার সঙ্গে ফোনে আধ ঘণ্টার মতো কথা বলতাম। ঘটনার দিনও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ছিল সুখী, হাশিখুশি এবং প্রাণবন্ত।’ কস্তেনকোর বাবা আলেক্সান্ডার বলেছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে, একটি মেয়ের জন্য কস্তেনকো গলায় দড়ি দিয়েছে। না, এ কথা আমি কখনোই বিশ্বাস করি না। আমি আমার সন্তানকে ভাল করেই জানি।’ কস্তেনকোর প্রতিবেশীরাও জানিয়েছে, সে খুব হাশিখুশি ও আশাবাদী স্বভাবের মানুষ ছিল। ভাইয়ের লাশ দেখার পর ছোটবোন বলেছে, যে লাশ অক্ষত ছিল, গলায় ফাঁস দেয়ার কোন চিহ্ন সেখানে ছিল না। মারা যাওয়ার আগের দিন শুক্রবার কস্তেনকো তার এক বন্ধুকে বলেছিলেন, সব ঠিকমতো থাকলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন। ২৭ অক্টোবর শেষকৃত্য শেষে কস্তেনকোর নিজ শহর গ্রেচানা বালাকায় তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
×