ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বল কুড়িয়ে লাখপতি

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৪ নভেম্বর ২০১৫

বল কুড়িয়ে লাখপতি

কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু গ্লেন বার্গার এক অদ্ভুত কাজে পারদর্শী। বার্গার তখন বেকার। কিছুতেই তিনি বুঝতে পারছেন, না কোন কাজ করলে তিনি আনন্দ পাবে, আবার অনেক টাকাও রোজগার করতে পারবেন। বার্গারের সমস্যা হলো গল্ফ ছাড়া তার আর কোনও কিছু ভাল লাগত না। সারাদিন তিনি বসে থাকতন গল্ফ কোর্সে। উপায় খুঁজতে গিয়ে তিনি একদিন পাশের এক পুকুরের পানিতে ডুব দেন। আসল কথা হলো, খেলোয়াড়রা অনেক সময় প্র্যাকটিস, টুর্নামেন্টে গল্ফ বল মেরে কোর্সের বাইরে পাঠিয়ে দিতেন। বলটা গিয়ে পড়ত পুকুর, খাল অথবা নদীতে। বার্গার ঠিক বলের নেশায় ঝাঁপ দিতেন পুকুর, ডোবা, হ্রদ, নদীতে। সারাদিন সেসব বল তিনি নিজের কাছে সংগ্রহ করতে লাগলেন। ধীরে ধীরে বল সংগ্রহ করাটা তার নেশায় পরিণত হলো। ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসের সব বাঘাবাঘা গল্ফ কোর্সের পুকুর, ডোবা, হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে তিনি গল্ফ বল সংগ্রহ করতে লাগলেন। টাইগার উডস তখন মধ্যগগণে। টাইগারের অনেক বল উড়ে গিয়ে পড়ল পুকুরে। বার্গার খেলা শেষে সেসব বল সংগ্রহ করতে ঝাঁপ দিতেন পুকুরে। অনেক সময় পানিতে বল কুড়োতে গিয়ে সাপ, কুমীরের সঙ্গেও সাক্ষাত হয়েছে তার। তবে এতে তিনি দমবার পাত্র ছিলেন না। এমন করতে করতে ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে। ২৬ বছরের যুবক বার্গার এখন চল্লিশের পরিণত পুরুষ। বার্গারের ঝাঁপিতে লাখ লাখ গল্ফ বল। প্রতিটা গল্ফ বলের ইতিহাসও বেশ স্মরণীয়। কোনটা টাইগার উডসের মারা বল, কোনটা ররি ম্যাকলরয়ের। বার্গার সেসব বল বিক্রি করতে শুরু করলেন। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি লাখপতি। প্রতিবছর তিনি প্রায় দেড় লাখ বল পানি থেকে উদ্ধার করেন। মাঝে-মাঝে তিনি সব বল গল্ফ ক্লাবে ফিরিয়ে দিয়ে বল পিছু ২ ডলার করে নিতেন। সূত্র: ওয়েবসাইট
×