ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভায় ’১৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩ নভেম্বর ২০১৫

মন্ত্রিসভায় ’১৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ২০১৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী মিলিয়ে ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে চারদিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। এবারের ছুটির তালিকায় উৎসব পালনে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সরকারী চাকরিজীবীদের দুদিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য তিন দিন ঐচ্ছিক ছাড়াও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈসাবি উৎসব পালনের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি থাকবে ২৯ চৈত্র এবং ২ বৈশাখ। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৬ সালের এ ছুটির তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপজেলা পর্যায়ে বেতন বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের বিষয় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আইনমন্ত্রী দেখবেন। আগে কি ছিল তা দেখে তিনি বিষয়টি সুরাহা করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল পর্যালোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে নিয়ে বৈঠক করেন। এটি নিরসনে প্রধানমন্ত্রী সেখানে দিকনির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ ছুটি ১৪ দিন, নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি আট দিন, ধর্মীয় কারণে তিন দিন ঐচ্ছিক ও বৈসাবি উৎসবের জন্য আরও দুদিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী ইংরেজী বছরে ১৪ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে চার দিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। তাই প্রকৃতপক্ষে মোট ছুটি থাকবে দশ দিন। অপরদিকে নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে আট দিন। এর মধ্যে কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই। শফিউল আলম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি উৎসব’ পালনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ২৯ চৈত্র ও ২ বৈশাখ ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারা এ দু’দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। আর বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কর্মের জন্য তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি রয়েছে আগামী বছর। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী এ ছুটি নিতে পারেন। সরকারী ছুটির জন্য প্রতিবছর মন্ত্রিসভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছুটির তালিকা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। বাংলা একাডেমি, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদফতরের মতামত নিয়ে এ ছুটির তালিকা উপস্থাপিত হয়। ঈদের ছুটি বাড়ানোর আলোচনা থাকলেও মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
×