ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের জের

চট্টগ্রাম নগরী থেকে ৩০ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৩ নভেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রাম নগরী থেকে ৩০ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার ফুটপাত থেকে ৩০টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। গত শনিবার দোকানগুলোর দখল নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষের পর সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয় বলে জানা গেছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-উত্তর) তারেক আহমেদ জানান, ‘ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকানগুলো বসিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ওইসব দোকান থেকে চাঁদা আদায় করত। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩০টি দোকান উচ্ছেদ করেছি।’ গত শনিবার দোকানগুলোর দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর সিএমপি কমিশনার দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। স্থানীয়রা ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জিইসি মোড় থেকে সানমার ওশান সিটি পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ভাসমান দোকান বসিয়ে সেখান থেকে চাঁদা আদায় করত নগরীর ওমরগণি এমইস কলেজভিক্তিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দুটি গ্রুপ। এসব দোকানের দখল নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় জিইসি মোড়ে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে তারা পরস্পরের দখলে থাকা ফুটপাতের প্রায় অর্ধশত দোকান ভাংচুর করে। উভয় গ্রুপের সশস্ত্র মহড়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ সম্পর্কে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, দোকানগুলোর দখল নিয়ে স্থানীয় হকারদের মধ্যে শনিবার মারামারি হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিও একই দাবি করেন। তিনি জানান, শনিবারের ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত ছিল না। আমরা যতটুকু জেনেছি স্থানীয় হকাররা দোকানের দখল নিয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের সঙ্গে মারামারি করেছে। যশোরের সেই স্কুলছাত্রীর পরিবার ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা; এরপর অপহরণ ও গর্ভের সন্তান হত্যার শিকার সেই স্কুলছাত্রীকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দু’দফায় মামলা করে এখন মেয়েটির পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। গর্ভবতী অবস্থায় অপহরণের দশ দিন পর শনিবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে মেয়েটি উদ্ধার হয়। তবে এর আগেই অপহরণকারীরা তার সিজারিয়ান অপারেশন করে গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছে। মেয়েটির বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুড়া এলাকায়। যশোর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মেয়েটি তার অপহরণ ও সন্তান হত্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মেয়েটি জানায়, ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া এলাকা থেকে মুখ ঢাকা অবস্থায় এক মহিলা তাকে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করে মুখে গ্যাস জাতীয় কিছু একটা দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেরিঘাট এলাকায় তার জ্ঞান ফেরে। সেখানে দেখতে পায় মাইক্রোবাসের মধ্যে তারা। মাইক্রোবাসে চালক ছাড়া মুখ ঢাকা এক মহিলা ও পুরুষ ছিল। তারা ঢাকায় নিয়ে পরদিন ২৪ অক্টোবর একটি বাড়িতে রেখেই মেয়েটির সিজারিয়ান অপারেশন করায়। সন্তানটি ৪ দিন পর মারা যায়। সিজার অপারেশনের পর ওরা ৬০ হাজার টাকার কথা আলোচনা করছিল বলেও জানায় মেয়েটি। বাচ্চা মারা যাওয়ার পর ওই চক্র তাকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল বলে দাবি মেয়েটির।
×