ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৩ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

আপাতদৃষ্টিতে কোন বিচ্যুতি চোখে পড়বে না। সেই একই অসহনীয় যানজট। মানুষ ছুটছে। বাণিজ্যিক প্রতিটি ভবনেই কর্মব্যস্ততা। রাস্তায় খোলা ডাস্টবিন থেকে উপচে পড়ছে আবর্জনা। চারদিকে জীবনের কোলাহল। কোথাও কোন আপাত অসংলগ্নতা নেই। ঢাকা আছে সেই চিরচেনারূপে চির পুরাতন। গত সপ্তাহের সঙ্গে এ সপ্তাহের কীই বা এমন পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে সময়, যে রাজধানী কিছুটা বদলে যাবে! অথচ আমরা জানি ঢাকা কী নৃশংস কর্মকা-েরই না সাক্ষী হলো? মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী লেখক-প্রকাশকদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে তা কার্যকর করাও যে কত সহজ, তারই উদাহরণ আবারও দেখল ঢাকাবাসী। দিনেদুপুরে অফিসে ঢুকে টার্গেট ব্যক্তিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে/ খুন করে তারপর অফিসে তালা ঝুলিয়ে নির্বিঘেœ চলে যাওয়া! এমনটা কি কখনও আগে দেখেছে বাংলাদেশ? শুধু লেখার জন্য, লেখা প্রকাশের জন্য একের পর এক মুক্তমনাদের গলায় চাপাতির কোপ বসছে। এরকম অবস্থায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। হাতের কলম অসাড় হয়ে পড়ে। অথচ প্রতিবাদে আমাদের গর্জে ওঠা দরকার। কলমকে আরও শানিত ও বেগবান করা প্রয়োজন। আজ জেলহত্যা দিবস। পঁচাত্তর সালের পনেরই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষে এদিনে জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়। আমরা প্রয়াত চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শুদ্ধস্বর ও জাগৃতি মুক্তচিন্তার দুই বাতিঘর শুদ্ধস্বর ও জাগৃতি- দেশের প্রকাশনা জগতে সমীহ-জাগানো দুটি নাম, দুই তরুণের হাতে সংস্থা দুটির পথ চলা শুরু। মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের কিছু বই প্রকাশ করেছে শুদ্ধস্বর ও জাগৃতি। ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলার সময়ে লেখক অভিজিৎ রায়কে যে কায়দায় হামলা করে মেরে ফেলা হয়েছে, সেই একই পদ্ধতিতে শনিবার দুপুরে কাছাকাছি সময়ে ওই দুটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের দুই প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশীদ টুটুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। সময়মতো হাসপাতালে নেয়ায় একজন বেঁচে গেছেন। অপরজনকে হারিয়েছি আমরা। কথা দিয়েও যে মানুষটি কখনও কাউকে আঘাত করেছে বলে শোনা যায়নি, তার শরীরে তিনটি বড় আঘাত পাওয়া গেছে ময়নাতদন্তকালে। এদিকে পুত্রহারা পিতার উদ্দেশে কদর্য মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এক রাজনীতিবিদ। টুটুলের সঙ্গে তার কার্যালয়ে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন দুই লেখক রণদীপম বসু ও তারেক রহিম। দীপনকে স্মরণ করে লেখক-অধ্যাপক মোরশেদ শফিউল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন : দীপনের সঙ্গে আমার সরাসরি আলাপ-পরিচয় ছিল না। কখনও কথাবার্তাও হয়নি। যদিও দূর থেকে, কাছ থেকে আমি ওকে অনেকদিন ধরেই চিনি। এক সময় ওদের বাসায় আমার যাওয়া-আসা ছিল। তার বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আমার সরাসরি শিক্ষকই শুধু ছিলেন না, ছিলেন আমার পিএইচ ডি গবেষণার তত্ত্বাবধায়কও। সেই সূত্রে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসায় আমি অনেকবারই গেছি। পরবর্তী সময়ে একজন নবীন প্রকাশক হিসেবে দীপনকে দেখেছি। আমার প্রকাশক বন্ধুদের কাছে তার সম্পর্কে শুনেছি। সমাজের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো প্রকাশকদের মধ্যেও আছে নানা দলমতের মানুষ। আছে গোষ্ঠী। কিন্তু সবাইকে দেখেছি ভদ্র শান্ত চরিত্রের মানুষ হিসেবে দীপনের প্রশংসা করতে। কোন বিষয়েই কোন চরমপন্থী মতামত সে পোষণ বা প্রকাশ করত বলে কারও কাছ থেকেই আমি শুনিনি। প্রকাশক হিসেবে এ পর্যন্ত সে অনেক লেখকের অনেক ধরনের বই বের করেছে। অভিজিৎ রায় তার অনেক লেখকের একজন মাত্র। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও এ দেশে যারা দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির মাধ্যমে বুদ্ধিমুক্তি বা স্বাধীন চিন্তাচর্চার পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় একজন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। উদার মানবতাবাদী, যুক্তিবাদী ও মোটামুটি সমন্বয়পন্থী দৃষ্টিভঙ্গির অনুসারী একজন শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক নিজে কারও আক্রোশের শিকার হতে পারেন, তিনি নিজে বা তাঁর অগণিত ছাত্র, পাঠক ও অনুরাগীদের কেউ আমরা কখনোই এমনটা ভাবতে পারি নি। তিন-চারদিন আগে শাহবাগ আজিজ মার্কেটেই স্যারের সঙ্গে দেখা হতে তিনি বরাবরের মতোই আমাকে টেনে নিয়ে এই সময়ে আমরা যারা সমাজে সুস্থ ও দায়িত্বশীল চিন্তা ও ভূমিকার পক্ষপাতী, দলবাজির বাইরে থেকে চিন্তাচর্চা করতে চাই তাঁদের করণীয় সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন। ব্যস্ততা থাকায় সেদিন আমি তাঁকে সময় দিতে পারি নি। পুত্রশোক সামলে তিনি কীভাবে আবার উঠে দাঁড়াবেন, জানি না। পাছে টিভির পর্দায় শোকার্ত স্যারের ভেঙ্গেপড়া চেহারা দেখতে হয়, এই আশঙ্কায় আমি আজ সন্ধ্যা থেকে টিভির সামনেই বসি নি। আমেরিকায় বসবাসকারী লেখক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী সেজান মাহমুদ বলছেন : সারা দুনিয়াতে যখন ‘হ্যালোইন’ পালন করছে মানুষ, কল্পিত ভূতপ্রেত বা দানবের কাছে থেকে নিজেদের বাঁচাতে মুখোশ পরে করছে উৎসব, করছে আনন্দে অবগাহন, ঠিক তখনই বাংলাদেশে চলছে সত্যিকারের হ্যালোইন। পৃথিবী জুড়ে মানুষ যখন কৃত্রিম রঙে নিজেদের রাঙ্গিয়ে নিচ্ছে, হাতে কৃত্রিম ছুরি, ঠিক তখন বাংলাদেশে মধ্যযুগের বিশ্বাসে ভর করা একদল সত্যিকারের দানব, কিম্বা প্রেতাত্মা আসল ছুরি, চাপাতি দিয়ে মানুষের আসল রক্তের রঙে সাজিয়ে নিচ্ছে ঘরের মেঝে, ধূসর দেয়াল কিম্বা নিঃসঙ্গ রাজপথের কংক্রিট। কী বীভৎস, কুরুচি, বিকৃতির মানুষ নামের অমানুষ এরা। পৃথিবীতে হ্যালোইন যখন মানুষের ‘ভিন্ন সত্তার’ বা ‘আলাদা সত্তার’ রূপকী প্রকাশ, ঠিক তখন বাংলাদেশে মানব-সত্তাকেই কুপিয়ে ধ্বংস করার পক্ষে এই ধর্মীয় প্রেতাত্মারা। হ্যাপি হ্যালোইন কুৎসিত খুনীরা। মনে রাখিস ‘শব্দ কখনো মানুষ মারে না, মানুষ মারে তোদের কালো হাত’। কানাডা প্রবাসী কথাশিল্পী নাহার মনিকার প্রতিক্রিয়া : আজকে জানলাম আমাদের রোকেয়া হলের হাউস-টিউটর ফরিদা প্রধান আর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল আরেফিন দীপন। অধ্যাপক অজয় রায়ের পাশে কাসেম স্যারের মুখটাও বসে গেল! নিহত সন্তানের শোকে ন্যুব্জ পিতাদের কাঁধ। সেই অনেক আগের দেখা ফরিদা আপার সৌম্য, স্মিত হাসির চেহারাই কেবল দেখতে পাচ্ছি। তার যন্ত্রণাকাতর মুখ জানি না, কল্পনা করতে পারছি না। চারপাশের ঘটনায় উটপাখি হওয়ার বৃথা চেষ্টা করে যাই। যে বালিতে মুখ মাথা গুঁজে থাকি, এখন দেখি সে বালিও রক্তে ভিজে যাচ্ছে... ‘ন্যাস্টি এ্যামনেস্টি’ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করা এবং সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলার জন্য এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটিকে ‘ন্যাস্টি’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছেন অনেক ঢাকাবাসী। তাদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল হচ্ছে রাজধানীতে। বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে আসছে। রবিবারের জনকণ্ঠে এ সংক্রান্ত বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দুই সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সাজার রায় কার্যকরের অপেক্ষা করছে জাতি। এমন একটি সময়ে এ্যামনেস্টির বিতর্কিত বিবৃতি সঙ্গত কারণেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ক্ষুব্ধ করেছে। প্রশ্ন উঠছে, ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় বোমা মেরে যখন নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন সংগঠনটি কেন মৌনব্রত পালন করছে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ যথার্থই বলেছেন, একাত্তরে রাজাকার আল বদর আল শামস যেভাবে কথা বলত, সংগঠনটি এখন সে ভাষাতেই কথা বলছে। একষট্টি সালে প্রতিষ্ঠালাভ করে সংস্থাটি, পনেরো বছরের মাথায় অর্জন করে নেয় নোবেল শান্তি পুরস্কার। এবার বাংলাদেশে অশান্তি ও অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য সংস্থাটির জন্য কী ‘পুরস্কার’ প্রদানের প্রস্তাব করা যায়? বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট ঢাকার বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট তৈরির কথা শোনা গিয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। সম্প্রতি মন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার হলো। ৪৫০ স্কয়ার ফিটের দু’হাজার ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে মিরপুরে। গত সপ্তাহে এক সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর বক্তব্যে এমন তথ্য উঠে আসে। প্রতিদিন ২৭৫ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত বস্তিবাসী কুড়ি বছরের মধ্যে ফ্ল্যাটটির মালিক হয়ে যাবেন। তাতে দেখা যাচ্ছে কুড়ি লাখ টাকা দাম হচ্ছে একেকটি ফ্ল্যাটের। দু’হাজার পরিবারের জন্য রাজধানীতে স্থায়ী আবাসনের এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। ঢাকায় বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রচুর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএসের ‘বস্তিতে শুমারি ও ভাসমান লোকগণনা ২০১৪’ অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত ১ হাজার ৬৪৪টি বস্তিতে ১ লাখ ৪২ হাজার পরিবার থাকে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তির সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৬টি। এসব বস্তিতে বাস করে ৪১ হাজার ৬১১টি পরিবার। বস্তিগুলো সম্পর্কে বহু অভিযোগও রয়েছে। সেগুলো বিচিত্র অপরাধের আখড়া হয়ে উঠলেও মানবিক কারণেই কোন সরকারের পক্ষে বড় আকারে বস্তি উচ্ছেদ সম্ভব হয় না। ইট-কংক্রিটের নগরীতেসবুজ উদ্যানের স্বপ্ন শুক্রবার জাদুঘরে এসেছিল প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর আগামী দিনের এক ঝাঁক তরুণ স্বাপ্নিক। স্থাপত্যকলায় একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যমী ঢাকাপ্রেমী শিক্ষার্থীদের স্থপতিও বলা যেতে পারে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর এলাকাকে পাবলিক প্লেস বা জনসমাগমস্থল করার পরিকল্পনা ও নকশা আহ্বান করা হয়েছিল এ্যাসোসিয়েশন অব বুয়েট এ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪টি দল ওই ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের ভাবনা ও নকশা উপস্থাপন করেছে। তারই বাছাইকৃত নকশা নিয়ে জাদুঘরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। একটি গ্রন্থও প্রকাশ করা হয় ধারণাপত্র ও নকশা নিয়ে। তাতে কংক্রিটের নগরীতে সবুজ উদ্যানের স্বপ্নই রুয়ে দিয়েছে তরুণ-তরুণীরা। সবুজ বনানীর ফাঁকে ফাঁকে শিশুদের জন্য রকমারি বিনোদন ব্যবস্থা, লেকের পাড় ধরে পায়ে চলার পথ, বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের জন্য মঞ্চ, ভাসমান রেস্তরাঁ আর পাঠাগারে সমৃদ্ধ এক প্রাণবন্ত স্বাস্থ্যকর অঞ্চল। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি বিশদ এলাকাকে কীভাবে উন্নত করা যায় তারই উদাহরণ তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। প্রিয় মেয়র, আপনাকেই বলছি আমরা এই কলামে ঢাকার দুই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান ও অনিয়মের সুরাহা চাইছি। এটা নিছক আমাদের অনুরোধ নয়, সমাজেরই দাবি। আজ আমরা তুলে ধরব রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের হৃৎপিণ্ড ও নিকটস্থ একটি সড়কের দুর্দশার ছবি। মিরপুর-মোহাম্মদপুর ও টঙ্গী রুটের যানবাহন ফার্মগেটের মোহনা অতিক্রম করেই শাহবাগ-মতিঝিলের দিকে চলে যায়। এখানকার অনেকটা ত্রিভুজাকৃতির জায়গাটি ও তার তিন দিকের একচিলতে সড়ক উন্মুক্ত শৌচাগারে পরিণত হয়েছে। যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের নাকে রুমাল চেপে থাকতে হয়। ত্রিভুজের দুটি কোনায় রাস্তার ওপর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসাবধানে পা-হড়কে প্রতিদিনই নাগরিকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আর এখান থেকে যে রাস্তাটি চলে গেছে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে, সেটা হয়ে উঠেছে উন্মুক্ত ভাগাড়খানা। এখানে কোন বর্জ্য সংগ্রহের কন্টেনার না থাকায় রাস্তা ও ফুটপাথের ওপর বিপুল পরিমাণে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। মেয়র চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান করা সম্ভব। ১ নবেম্বর ২০১৫ [email protected]
×