ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওরা মার্কিন সাহায্য চায়

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২ নভেম্বর ২০১৫

ওরা মার্কিন সাহায্য চায়

দক্ষিণ চীন সাগরের ভূখ-গত বিরোধের ফলে ঐ সাগরে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতির দাবি বাড়ছে। এ অঞ্চলের অনেক দেশের মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষাপ্রধান রবিবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে আমাদের সহায়তা চায় এশিয়া। এ উত্তেজনার মধ্যে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া রবিবার বৈঠকে বসেছে। খবর ওয়েবসাইটের। একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মঙ্গলবার চীনের একটি কৃত্রিম দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ঢুকে যায়। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ওপর বেজিংয়ের ভূখ-গত দাবির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এ চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপে বেজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের আক্রমণাত্মক কর্মকা- বন্ধ না করলে বিশ্বের ব্যস্ততম এ জলপথে কোন ক্ষুদ্র ঘটনাও যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ্যাশ কার্টার এক শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর পরস্পরবিরোধী দাবি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ অঞ্চলের অনেক দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে তাদের প্রভাবিত করছে। কার্টার বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রতিরক্ষাবিষয়ক আগামী শীর্ষ বৈঠকের আলোচ্যসূচীতে দক্ষিণ চীন সাগরের ঘটনাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গত বছর চীনের নজিরবিহীন ব্যাপক ড্রেজিং ও সামরিক তৎপরতা বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কার্টারের রবিবার সিউল পৌঁছানোর কথা। তিনি সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর প্রতি মার্কিন সহযোগীদের প্রতিক্রিয়ার বিষয় আলোচনায় স্থান পাবে। এরপর তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য মালয়েশিয়া যাবেন। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চ্যাং ওয়ানকুয়ানও এ বৈঠকে যোগ দেবেন। অন্য এক সংবাদে বলা হয়, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনাকর পরিস্থির মধ্যে রবিবার সিউলে এক ত্রিদেশীয় শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জাপান রবিবার দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-বিরোধের ওপর প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করা এড়িয়ে গেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর আগের দিন দাবি করেছেন যে, জাপানের অবস্থান দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-বিরোধের বাইরে রয়েছে। এ বিরোধে জড়িত রয়েছে ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেজিং চায়, দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট থাকুক। কিন্তু জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে এ অঞ্চলের আরও দেশকে জড়িত করার চেষ্টা করে এসেছে। ওয়াং শনিবার সিউলে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিস্ময় লাগে যে, দক্ষিণ চীন সাগরে জাপানের কী করার আছে? জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রবিবার ওয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তাদের মধ্যে কী সংলাপ হয়েছে তা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জাপানী কর্মকর্তারা। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিওন-হাইয়ের মধ্যে রবিবার বিকেলে দু’ঘণ্টার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পূর্ব এশীয় এ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে তিন বছরের বেশি সময়ে এটাই প্রথম ত্রয়ী শীর্ষ বৈঠক। এ বৈঠক ২০০৮ থেকে ২০১২-এ প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সমস্যা ও আঞ্চলিক বিরোধের কারণে সম্পর্ক টানটান হয়ে ওঠার কারণে বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়।
×