ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহকর্তার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা অপহরণের পর সিজার করে বাচ্চা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ নভেম্বর ২০১৫

গৃহকর্তার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা অপহরণের পর সিজার করে বাচ্চা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অপহরণের দশ দিন পর যশোরে গৃহকর্তার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা সেই স্কুল ছাত্রীটির সন্ধান মিলেছে। শনিবার রাতে তাকে ঢাকার গাবতলী এলাকায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এর আগেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার সন্তানটিকে নিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রবিবার সকালে মেয়েটি ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বিকেলে বেনাপোলে মামার বাড়ি পৌঁছে। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণের পর সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করালো সেটি ভিকটিম বলতে পারেনি। গত ২৩ অক্টোবর যশোর শহরের বারান্দীপড়া এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর মেয়েটির মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছার বাকুড়া এলাকার দাউদ সরদারের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মেয়েটি তার বাড়ির গৃহপরিচারিকা। এ অভিযোগে গত ২০ অক্টোবর দাউদ সরদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যশোরে মামলা করা হয়। এরপর গত ২৩ অক্টোবর মেয়েটি শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অপহরণের মামলা করেন। ডাক্তারি রিপোর্টে মেয়েটির আগামী ৫ নবেম্বর ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ভিকটিমের উদ্ধৃতি দিয়ে তার মামা জাকির হোসেন জানান, অপহরণের পর কে বা কারা মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে রেখে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করিয়েছে কয়েক দিন আগে। শনিবার রাতে অপারেশনের স্থানের সেলাই কেটে দেয়া হয়। এরপর গভীর রাতে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার গাবতলী এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোরে মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে সেখানকার লোকজন বেনাপোলগামী বাসের টিকেট কেটে তুলে দেয়। রবিবার বিকেলে মেয়েটি বেনাপোলে এসে পৌঁছে। যশোর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য জানান, মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সিজারের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে তাকে ফেলে রেখে গেছে। সন্তানের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মেয়েটি আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। এ ঘটনায় আমরা হাল ছাড়ছি না। আইনী লড়াইয়ে মেয়েটির পাশে থাকবে মহিলা পরিষদ। ঝিকরগাছা থানার ওসি মোল্যা খবির আহমেদ জানান, ধর্ষণের মামলার তদন্ত চলছে। মামলার আসামি দাউদ সরদার হজে গেছেন। এখনও তিনি ফেরেননি।
×