ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু ॥ হাসপাতাল ঘেরাও

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু ॥ হাসপাতাল ঘেরাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা ময়মনসিংহ ২৯ অক্টোবর ॥ ভালুকা পৌরসভার তাহ্মিনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় বৃহস্পাতিবার সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজন ও রুগীর স্বজনরা প্রায় এক ঘণ্টা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোতাহার হোসেন রিপনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী খন্দকার পাড়া এলাকার নেছার উদ্দিনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানজিনা আক্তারের (২০) প্রসব ব্যথা উঠলে বুধবার দুপুরে ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে তাড়াতাড়ি অপারেশন করে সন্তান প্রসব করতে হবে বলে স্বজনদের পরামর্শ দেয়। পরে ১৮ হাজার টাকা চুক্তিতে হাসপাতালের ডাক্তার মোশারফ হোসেন তার সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনার ১ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করান। পরে রোগীকে সিটে নেয়ার কিছুক্ষণ পরই রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় স্বজনরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তানজিনার অবস্থা আশংকাজনক হয়ে উঠলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বৃহস্পতিবার সকালে তানজিনাকে অন্যত্র প্রেরণের প্রস্তুতি নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয় স্বজন ও স্বানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখে। পরে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোতাহার হোসেন রিপনকে আটক করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কক্সবাজারে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওএসডি স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার খাদ্যগুদামে সরকারীভাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার চাল ক্রয়ে ৭ কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অবশেষে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তানভীর হোসেনকে ওএসডি করে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) বিভাগের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ শূন্যতা পূরণে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে পদায়ন করে গত ২৬ জুন কক্সবাজারে পাঠিয়েছিলেন এ কর্মকর্তাকে। কক্সবাজারে ৮ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তার অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ২ হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন চাল ক্রয় অবশিষ্ট রেখেই ক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি আলী হোসেন।
×