ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

উবাচ

কান ধরে উঠবস স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতু দেশের একাংশের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের নাম। একটি পক্ষ ভেবেই নিয়েছিল সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে সরকারের ভরাডুবি হবে। সঙ্গত কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল দেশের নামধারী কয়েকজন মানুষ। যদিও একটু আগেভাগেই তা শুরু করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। ওই সময় মূল সেতুর নির্মাণ থেকে বেশ দূরের একটি ছোটখাটো দরপত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশ্বব্যাংক। সেতুর নির্মাণ তদারকিতে কানাডার একটি কোম্পানির দুর্নীতির গন্ধ খুঁজতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক তড়িঘড়ি ঋণ চুক্তিটিও বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করার সময় বিশ্বব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমাণও তুলে ধরতে পারেনি। এমনকি কানাডার আদালতেও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাহলে কেন সেই দুর্নীতির অভিযোগ? বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সামনে খাটো করতে এই প্রক্রিয়া বলে প্রমাণ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, বরং বিশ্বব্যাংক থাকলে নানা শর্তের জালে কাজ চলত কচ্ছপ গতিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাতাদের সহায়তা ছাড়াই আমরা এত বড় প্রকল্প নিজেরাই করতে পারি তা প্রমাণ হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের নতুন ধারণা তৈরি হয়েছে; যা ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। কিন্তু সেই বিশ্বব্যাংকের কি এ জন্য কোন জবাবদিহি করতে হবে না। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী অবশ্য একটা পথ বাতলে দিয়েছেন বিশ্বব্যাংককে। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন ‘এখন বিশ্বব্যাংকের কান ধইরা উঠবস করা উচিত।’ তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বলেছিল পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। অথচ কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে দুর্নীতি হয়নি। তাইলে এখন তাদের কান ধরে উঠবস করা উচিত। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যারা সুর মিলিয়ে দুর্নীতির কথা বলেছে তাদেরও কান ধরে উঠবস করা উচিত। দায় বিএনপির না স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই বিদেশী হত্যাকা-ের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান সরকারকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে সরকারই ঘটিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক এমন কোন বড় ঘটনাই ঘটেনি যেজন্য জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন খাতে নিতে হবে। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিএনপি সরকারকে দোষারোপ করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা দোষারোপ করে বিএনপিকে। এরপর বিএনপির তরফ থেকে বলা শুরু হলো, সরকারের উপর মহল তদন্তের আগেই এমন বক্তব্য দেয়া শুরু করলে বিএনপিকেই জড়ানো হবে। কিন্তু বিএনপি এত ছোট কাজ করতে পারে না। সত্যি সত্যি যখন বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেল তখন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলছেন ‘ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত হয় তার দায় বিএনপির নয়।’ আহ! কী মজা। ব্যক্তি দলীয় স্বার্থে কাজ করল আর তা জানাজানি হলে দল বলে দিল আমি কিছু জানি না। যে করছে তারে গিয়ে ধরুন। বিএনপি কি তাহলে তার নেতাকর্মীর কার্যক্রমকে নিজেদের কাজ বলে মনে করে না।
×