ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যাজক হত্যাচেষ্টা

জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঈশ্বরদীর ফেইথ বাইবেল চার্চের ধর্মযাজক লুক সরকারকে (৪৫) গলা কেটে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবুল ইসলামকে (২৩) পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তার বাবা। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার টেবুনিয়া বাজারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির অফিসে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে রাকিবুলকে হস্তান্তর করেন তার বাবা ডাঃ মানিক। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। এলাকাবাসী জানায়, যাজক লুক সরকার হত্যা প্রচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলামকে হাজির করতে তার বাবাকে চাপ দেয় পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসীও রাকিবুলকে পুলিশের কাছে হাজির করতে চাপ দেয়। বুধবার দুপুরে বাবা ডাঃ মানিক রাকিবুলকে টেবুনিয়া বাজারে এনে শত শত মানুষের সামনে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল্লাহ আল হাসানের কাছে তুলে দেন। গত ৫ অক্টোবর সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার স্কুলপাড়ার যাজক লুক সরকারের ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে গলায় ছুরি চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় লুক সরকারের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। যাজক হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি জেএমবির আঞ্চলিক নেতা রাকিবুল ইসলাম এতদিন পলাতক ছিল। রাকিবুলের বাবা ডাঃ মানিক জানান, তার ছেলে আগে ভাল ছিল। কিন্তু পরে ভুল পথে চলায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আটক জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবুল ইসলাম জানায়, যাজক লুক সরকার খ্রীস্টান ধর্ম প্রচার করতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানা রকম কটূক্তি করতেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা যাজক লুক সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। রাকিবুল দাবি করে, সে আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জেএমবি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত নয়। তবে ইসলামী একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যদিও পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করেছেন, পুলিশই জেএমবি কমান্ডারকে গোপন সূত্রের মাধ্যমে আটক করেছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমান কুমার দাশ জানান, খ্রীস্টান যাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টা ঘটনার পর থেকে পুলিশ ঘটনা উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে। পাবনা সদর থানার ওসি আ ন ম আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি পুলিশের অব্যাহত অভিযান ও কৌশল অবলম্বনের কারণে তাকে গ্রেফতারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
×