ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পর্যটন বর্ষ পালনে আরও প্রস্তুতি দরকার ছিল’

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

পর্যটন বর্ষ পালনে আরও প্রস্তুতি দরকার ছিল’

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে উদযাপন করবে সরকার। সরকারিভাবে প্রায়ই দাবী করা হয়, নানা বৈচিত্র্যের কারণে বাংলাদেশের পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পর্যটন শিল্পের সাথে সম্পৃক্তরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশকে দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে খুব কম বিদেশী পর্যটক দেশটি সফর করেন। এমন প্রেক্ষাপটে সেক্ষেত্রে পর্যটন বর্ষ উদযাপন কি পর্যটন শিল্পের জন্য একটি ভালো খবর? ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আকবর উদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, " এটি ভালো ব্যাপার অবশ্যই। তবে আরও ২/৩ বছর আগে থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার ছিল। হঠাৎ করে কয়েক মাস আগে দু-চারটি মিটিং হল আর ঘোষণা হল যে, ২০১৬ তে পর্যটন বর্ষ হবে। অথচ অন্যান্য দেশে ৩/৪ বছর আগে থেকে তারা প্ল্যানিং করে”। তিনি জানান, অন্যান্য দেশে পর্যটন বর্ষ শুরুর আগে বিশাল প্রস্তুতি নেয়া হয়। বড় ধরনের প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। বাসে –ট্রেনে, টেলিভিশনে বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হয়। দেশি বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেলেও বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। এখানে সে ধরনের কিছু দেখা যায়নি বলে তিনি জানান। এমন প্রেক্ষাপটে পর্যটন বর্ষ পালন করতে গেলে তার ভাষায়,“কষ্ট হবে সবার, প্রচুর টাকাও সরকারের খরচ হবে । তবে সরকারি আমলা দিয়ে এসব কাজ করা যাবে না”। মিস্টার আহমেদ মনে করেন এখন যে অবকাঠামো আছে তা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোনভাবেই যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, "একটি উদাহরণ দিলেই যথেষ্ট। ধরুন ঢাকায় হরতাল হলে কোনও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিয়ে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু ব্যাংককে যখন গণ্ডগোল হল ট্যুরিস্টরা সবাই সরাসরি ফুকেটে চলে গেছে। তাদের ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি”। তিনি মনে করেন, কক্সবাজারে সরকার যে বিশেষ কিছু ট্যুরিস্ট জোন করার উদ্যোগ নিয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। বিদেশী পর্যটকরা বেড়াতে বা ভ্রমণে গিয়ে যেভাবে সময় কাটাতে চান তাদের উপভোগের জন্য তেমন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে বৌদ্ধ ঐতিহ্য এবং নিদর্শনকে ঘিরে পর্যটন আকর্ষণ করার বিষয়ে আরও তৎপরতা দরকার বলেও তিনি মনে করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
×