ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডব্লিউটিএ ফাইনালস

জয় দিয়ে শুরু করলেন শারাপোভা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

জয় দিয়ে শুরু করলেন শারাপোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উইম্বল্ডনের পর উহান ওপেনে খেলতে নেমেছিলেন মারিয়া শারাপোভা। কিন্তু বাধসাদে চোট। যে কারণে চার মাসেরও বেশি সময় পর সিঙ্গাপুরেই প্রথম কোর্টে নামলেন রুশ সুন্দরী। আর বিএনপি পরিবাস ডব্লিউটিএ ফাইনালসে জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করলেন রাশিয়ান টেনিসের এই গ্ল্যামারগার্ল। রবিবার নিজের প্রথম ম্যাচে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা পোল্যান্ডের এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কাকে পরাজিত করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে এদিন তিনি ৪-৬, ৬-৩ এবং ৬-৪ গেমে হারান পোলিশ তারকা এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কাকে। উইম্বল্ডনের সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে হেরে ছিটকে পড়েছিলেন শারাপোভা। এরপর উহান ওপেনে ঢাকঢোল পিঠিয়েই কোর্টে নামেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য রুশ সুন্দরীর। এখানেও তার পিছু ছাড়েনি চোট। এক সেট খেললেও ইনজুরির কারণে ম্যাচ শেষ করার আগেই অবসর নিতে বাধ্য হয় তার। যে কারণে ডব্লিউটিএ ফাইনালসে প্রায় পাঁচ মাস পর প্রথম কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিতলেন মাশা। তবে জয়টা সহজে আসেনি তার। ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট কঠিন লড়াইয়ের পরই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পান তিনি। যে কারণে রবিবার তার আনন্দ উল্লাসের মাত্রাটাও ছিল অনেক বেশি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের পর থেকে এটাই আমার পরিপূর্ণ একটি ম্যাচ জয়। তাই এটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু। এই সময়ের মধ্যে আমি অনেকবার শুরু করেছি এবং থেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। গত কয়েক মাস কোর্টে না খেলেও আমি এমন একজন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিতলাম যে আসলেই জয় পাওয়ার যোগ্য। রাদওয়ানস্কার বিপক্ষে জিতে আমি সত্যিই খুব রোমাঞ্চিত।’ টেনিসের চার গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট। মর্যাদার এই চার টুর্নামেন্টের পরই ডব্লিউটিএ ফাইনালস। মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই ইভেন্টকে। সিঙ্গাপুরে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এই আসর। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট প্রমীলা খেলোয়াড় পারফর্ম করছেন এখানে। তাই অংশগ্রহণকারী সকলেই সেরা। মৌসুমের শেষ এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা দিতে সকলেই মরিয়া। শারাপোভা-রাদওয়ানস্কার ম্যাচটিই যেন তার বড় উদাহরণ। ডব্লিউটিএ ফাইনালসের প্রথম ম্যাচ শেষে শারাপোভা নিজের পারফর্মেন্সে বেশ সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি খুব ভাল অনুভব করছি। তবে এখানকার আবহাওয়া খুবই ঠা-া। পাগুলো মনে হচ্ছিল হিমায়িত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সর্বোপরি আমি খুব ভাল আছি।’ প্রথম সেট জিতে দারুণভাবে শুরু করেও শেষে সঙ্গী হলো পরাজয়ের লজ্জা। এতে হতাশ রাদওয়ানস্কা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে আমার সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি। দ্বিতীয় সেটের শুরুটাই হয় ধীরগতিতে। আর এ রকম ম্যাচে আপনি যখন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারবেন না তখন আর এই ম্যাচ আপনার পক্ষে যাবে না।’ যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাক সককে সরাসরি সেটে পরাজিত করে স্টোকহোম ওপেনের শিরোপা ধরে রেখেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ বাছাই টমাস বার্ডিচ। রবিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে বার্ডিচ বিস্ময়করভাবে জ্যাক সককে ৭-৬ (৭/১), ৬-২ গেমে পরাজিত করে শিরোপ নিজের শোকেসে তুলেন। বিশ্বের পাঁচ নাম্বার তারকা বার্ডিচের এটা ১২তম ট্রফি। আর চলতি বছরের দ্বিতীয় শিরোপা। অক্টোবরের শুরুতে তিনি শেনজেন ওপেনে বছরের প্রথম শিরোপা জয় করেছিলেন। ২০১২ সালে স্টোকহোমে সুইডিশ টুর্নামেন্ট বিজয়ী বার্ডিচ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি এখানে ইতিহাস রচনা করতে এসেছিলাম। সেটা করতে পেরেছি। যার আনন্দটা অনেক বেশি। আমি সত্যিই খুব খুশি। কখনও কখনও বিশের এমন কিছু জায়গায় খেলতে ভাল লাগে যেখানে সহজেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা যায়। আমার জন্য স্টোকহোম হচ্ছে সে রকম একটি জায়গা। নিজের শিরোপা ধরে রাখতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
×