ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পর্যটন খাতে সক্ষমতায় জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

পর্যটন খাতে সক্ষমতায় জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সক্ষমতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শীঘ্রই ‘ওপেন লেটার অন ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম’ হস্তান্তর করবেন জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) মহাসচিব তালেব রিফাই। ইউএনডব্লিউটিও এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের উদ্যোগে যেসব দেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং জাতীয় নীতিমালায় অগ্রাধিকার দেয়া হয়, স্বীকৃতি হিসেবে সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের ‘ওপেন লেটার অন ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম’ দেয়া হয়। খবর বাসসর। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির রবিবার বাসস’কে বলেন, ‘অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানদের মতো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটন খাতের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও ‘ওপেন লেটার’ হস্তান্তর করবেন ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব।’ আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘ওপেন লেটার’ হস্তান্তর করার মানে হচ্ছে নিজেদের পর্যটন খাতকে তুলে ধরার ব্যাপারে বাংলাদেশের সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, দু’দিনব্যাপী এক বৌদ্ধধর্মীয় সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব আজ ঢাকায় আসবেন। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে ১৩টি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মীয় পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে একটি ‘রোড ম্যাপ’ প্রস্তুত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনে বিভিন্ন বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশের ধর্মগুরুরা অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আশা করে এ দেশে বৌদ্ধ স্থাপনা কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী ও বিনিয়োগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করবে ইউএনডব্লিউটিও। তিনি আরও বলেন, এ সম্মেলনে বৌদ্ধধর্মীয় পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে, বিশেষত- বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
×