ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গ্রুপসেরা বাজানের সেমির প্রতিপক্ষ চট্ট. আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

গ্রুপসেরা বাজানের সেমির প্রতিপক্ষ চট্ট. আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ আগে গোল করেও যদি হারের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে কষ্টটা হবে দ্বিগুণ। সেই কষ্টই পেয়েছে শ্রীলঙ্কার সলিড স্পোর্টস ক্লাব। ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল’- রবিবার ‘এ’ গ্রুপের ৩-১ গোলে হারায় আফগানিস্তানের ডি স্পিন ঘার বাজান ফুটবল ক্লাব। এ জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হলো বাজান ক্লাব। মঙ্গলবার প্রথম সেমিতে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। আর ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল সলিডের। অথচ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কলকাতা মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল দলটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের কাছে ৬-১ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হয়, তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাজানের কাছেও পরাস্ত হয়। পক্ষান্তরে ঢাকা মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করা বাজান ক্লাব দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-৩ গোলে কলকাতা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে কিছুটা হোঁচট খেলে শেষ ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতে সেমিতে খেলা নিশ্চিত করে। ম্যাচ শেষে বাজানের কোচ ওয়াহিদুল্লাহ বলেন, ‘জিতলেও তেমন খুশি নই। কেননা আরও ভাল খেলতে পারতাম। প্রথমার্ধে ৪-৩-২-১ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৪-৪-২ পদ্ধতিতে খেলেয়েছি দলকে। ছয় দিনের মধ্যে তিন ম্যাচ খেলা সত্যিই খুব কষ্টের। তাছাড়া আবহাওয়ায় আদ্রর্তার পরিমাণ ছিল বেশি। তার মধ্যে খেলতে খেলোয়াড়দের সমস্যা হয়েছে।’ সেমিতে বাজানের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। এ সম্পর্কে ভাবনা কী? ‘আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই জিতে সেমিতে যাব বলে আশাবাদী।’ বাজান কোচের ভাষ্য। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রবিবারের ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই শুরুটা করে ধীরগতিতে। তবে গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে সলিডই। ১২ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে নেয়া শোলার ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে গোলবঞ্চিত হয় তারা। ২৯ মিনিটে বাজানের মুস্তাফা আফসারের ব্যাকপাসে সাইদ মোহাম্মদের শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতেও ওলায়েমি ব্যর্থ হওয়ার পর ৪৩ মিনিটে সফলকাম হয় সলিড। বদলি হিসেবে নামা ডব্লিউডি দানোজের থ্রু পাস থেকে বাজানের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকে কাটিয়ে গোল করেন ওলায়েমি (১-০)। ৫৯ মিনিটে বাজানের মুস্তাফাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড পান দলটির ডিফেন্ডার এও ড্যানিয়েল। কিন্তু লাইন্সম্যান আগেই অফসাইডের পতাকা উড়ানোয় কার্ড প্রত্যাহার করে নেন রেফারি। এবারের যাত্রায় বেঁচে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি সলিডের। ৭২ মিনিটে আনোয়ার আকবারির ক্রসে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করে বাজানকে সমতায় ফেরান মুস্তাফা আফসার (১-১)। ৭৫ মিনিটে বাজানের সাইদ মোহাম্মদের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৭৮ মিনিটে বাজানের ফারদিন হাকিমির কাটব্যাক থেকে সলিড গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বদলি খেলোয়াড় রেজাল্লাহ ইয়ারি (২-১)। ৯০ মিনিটে বাজান অধিনায়ক গোলাম হযরতের গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাজানের (৩-১)।
×