ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইমামবাড়ায় বোমা হামলা যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিন্দা

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

ইমামবাড়ায় বোমা হামলা যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের   নিন্দা

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হোসেনী দালান ইমামবাড়ায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই ঘটনায় ইইউ’র পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদ্যুর প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া হোসেনী দালানে বোমা হামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সতর্কবার্তা হালনাগাদ করে নিজ নিজ নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বোমা হামলার ঘটনায় হতাহত সবার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ইইউ’র বক্তব্যে বলা হয়, এ ধরনের নজিরবিহীন সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার করবে বলে আশা করে ইইউ। এদিকে, রাজধানীতে শিয়াদের সমাবেশে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। হামলার নিন্দা জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এক টুইটে লিখেছেন, শিয়াদের আশুরার সমাবেশে ভয়ানক হামলা। এ ধরনের অসহনশীলতা ও সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক ফেসবুক পোস্টে নিহতের স্বজন ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেন, ধর্মীয় সহনশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে আছি। এদিকে, হোসেনী দালানে তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতিকালে হামলার ঘটনার পর আবারও নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের চলাচলের ওপর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। ঢাকায় অবস্থানরত দেশ দুটির নাগরিকদের উচ্চমাত্রার সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার পৃথক বার্তায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের হালনাগাদ করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকায় শিয়াদের জমায়েত লক্ষ্য করে বোমা হামলায় একজন নিহত ও আরও অনেকেই আহত হয়েছে। দেশটিতে এখনও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। পশ্চিমাদের ওপরও এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। যে কারণে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সীমিতভাবে চলাচলের জন্য পূর্বে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তা বজায় থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
×