ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাতিঘর নাট্যমেলায় আজ ‘আওরঙ্গজেব’

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

বাতিঘর নাট্যমেলায় আজ ‘আওরঙ্গজেব’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘অশুভের বিনাশক্ষণে, এসো মিলি নটনন্দনে’ সেøাগানে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘বাতিঘর নাট্যমেলা’। নাট্য সংগঠন বাতিঘর আয়োজিত চার দিনব্যাপী নাট্যমেলার আজ সোমবার শেষ দিন। একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্য ৭টায় মঞ্চায়ন হবে প্রাঙ্গণেমোরের সপ্তম প্রযোজনা নাটক ‘আওরঙ্গজেব’। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হীরা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন অনন্ত হীরা, নূনা আফরোজ, রামীজ রাজু, সারোয়ার সৈকত, শুভেচ্ছা প্রমুখ। নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক জানান, যুগে যুগে দেশে দেশে মসনদ বা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার, ধর্মের নামে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা বা যে কোন অমানবিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদের নাম ‘আওরঙ্গজেব’। এর কাহিনীতে দেখা যাবে, ভারতবর্ষে তৈমুরলঙ্গ আর চেঙ্গিস খাঁ মুঘল সম্রাজ্যের পত্তন করেছিল। সেই তৈমুর বংশের প্রথা ছিল মসনদে প্রত্যেক শাহাজাদার সমান অধিকার, যার তলোয়ার যত দীর্ঘ, যত ধারালো, যত সফল ততই মসনদে তার অধিকার। সম্রাট হুমায়ূন তার ভাই কামরান, আশকরী ও হিন্দালের বিরুদ্ধে লড়াই করে মসনদ দখল করেছিল। বাদশা শাহজাহান আপন ভাই খসরু শাহিয়ারের রক্তপাত ঘটিয়ে মসনদ দখল করেছিল। কিন্তু সেই শাহজাহানই শেষ বয়সে নিজ পুত্র আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দী জীবন কাটান। আওরঙ্গজেব একজন ধর্মপ্রাাণ সুন্নি মুসলমান হয়েও নিজ পিতাকে বন্দী করে মসনদ দখল করেন এবং মসনদের অন্য দাবিদার আপন ভাই দারা, মুরাদ আর সুজাকে একে একে হত্যা করেন। মৃত্যুর পূর্বে নব্বই বছর বয়সে বৃদ্ধ আওরঙ্গজেবের উপলব্ধি হয়েছিল, পবিত্র কুরআন বুকে নিয়েও কেউ যদি হৃদয়হীন হয় তাহলে তার ক্ষমা নেই, কারণ আল্লাহ এবং পবিত্র কোরআন কাউকে জল্লাদ হতে বলে না।
×